হাজার চেষ্টা করেও হিমাচল প্রদেশ সরকারের ত্রাণ তহবিলে অনুদান দিতে পারছেন না। নিজের জন্মস্থানের এমন দুর্দিনে পাশে থাকতে না পেরে ভয়ঙ্কর চটেছেন কঙ্গনা রানাউত। যার জেরে হিমাচলের কংগ্রেস সরকারকে তোপ দাগতেও পিছপা হলেন না অভিনেত্রী।
গত আগস্ট মাসেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হিমাচল, উত্তরাখণ্ডে।
প্রকৃতির প্রতিশোধ? সবুজ প্রকৃতি তথা ভৌগলিক চরিত্রকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের লাগামছাড়া অপকর্মেই কি বিভীষিকার মুখোমুখি উত্তরের দুই রাজ্যে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। একটানা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে ভয়াবহ দুর্যোগে হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড একেবারে ক্ষত-বিক্ষত। যার জেরে হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর সরকারকে একহাত নিলেন কঙ্গনা।
এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে 'হিমাচলিকন্যা' কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, 'বন্যা কবলিত হিমাচলের সরকারি ত্রাণ তহবিলে টাকা পাঠানোর জন্য আমি আর আমার টিম অন্তত ৫০-৬০ বার চেষ্টা করেছি, তবে ওই প্রদেশের সরকারের এতটাই দুরাবস্থা যে আপত্কালীন কোষাগারও ঠিক করে সামলাতে পারছে না। এতবার চেষ্টা করেও কোনও টাকা পাঠাতে পারিনি। কী লজ্জার বিষয়।'
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা বরাবরই গেরুয়া শিবির সমর্থক অভিনেত্রী। একাধিকবার নিজের কাজেকর্মে কিংবা মন্তব্যে সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলোকে কটাক্ষ করার সুযোগ পেলেই হল, ছেড়ে কথা বলেন না অভিনেত্রী। এবারও তার অন্যথা হল না। কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশের সরকারি ত্রাণ তহবিলে অনুদান পাঠাতে না পেরে কটাক্ষ করলেন কঙ্গনা রানাউত।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে হিমাচলের ভয়ংকর প্রলয়ের পর দুঃখপ্রকাশ করে ভূমিকন্যা কঙ্গনা রানাউত বলেছিলেন, 'হিমাচলে বৃষ্টি, বান থামছেই না। পাহাড় ধসে যাচ্ছে। সর্বস্ত্র রাস্তা বন্ধ। কোথাও বৈদ্যুতিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তো কোথাও বা আবার পানীয় জল নেই গত কয়েকদিন ধরে। বিপর্যস্ত দৈনন্দিন জীবনযাপন। পাহাড়ের মানুষদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে। আমি অনবরত প্রার্থনা করে চলেছি।'