আফগান রিফিউজিরা আত্মঘাতী হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তানে। এমনটাই দাবি করেছে ইসলামাবাদ। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে বেনজির টানাপোড়েন।
চলতি বছরে পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের কামড় প্রাণ কেড়েছে অনেকেরই। এসব ফিদায়েঁ হামলায় জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবানের (টিটিপি) হাত রয়েছে বলে মনে করছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাকিস্তানে শরিয়ত প্রতিষ্ঠার লড়াই চালাচ্ছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, টিটিপি-কে নিয়ন্ত্রণ করে আফগান তালিবান। এনিয়ে ইমরান খানের আমল থেকে দুই পড়শি দেশের মধ্যে আলোচনা হলেও রফাসূত্র মেলেনি। এই প্রেক্ষাপটে আফগান রিফিউজিদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে তৎপর হয়েছে ইসলামাবাদ।
সম্প্রতি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সরফরাজ বুগাতি দাবি করেছেন, পাক জমিতে আত্মঘাতী হামলার নেপথ্যে আফগান শরণার্থীরা রয়েছে। তাঁর কথায়, চলতি বছর পাকিস্তানের জমিতে হওয়া ২৪টি বিস্ফোরণের মধ্যে ১৪টিতেই হাত রয়েছে আফগান রিফিউজিদের। পাক মন্ত্রীর এই দাবিতে রেগে লাল আফগান তালিবান। এক্স হ্যান্ডেলে মৌলবাদী সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদের বয়ান, ‘পাকিস্তানে থাকা আফগাম শরণার্থীরা বিস্ফোরণের কোনও ঘটনায় জড়িত নয়।”
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করেছে পাকিস্তান। আর অতীতকাল থেকেই সেই সীমান্ত নিয়ে সংঘাত চলছে কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে। ১৯৪৭ সাল থেকে কোনও আফগান সরকার ডুরান্ড লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাক নীতিনির্ধারকরা মনে করছিলেন তালিবান ক্ষমতায় এলে তারা সেই স্বীকৃতি দেবে। কিন্তু সেই আশায় আগেই জল ঢেলে দিয়েছে জেহাদিরা।