তেতো খেতে কার আর ভাল লাগে। তবে প্রথম পাতে এই তেতোর কোনও রকম বিকল্প নেই। করলা তেতো স্বাদের বলে অনেকেই পছন্দ করেন না। আর এই সবজির কোনও তুলনা হয় না। বিশেষজ্ঞরা তাই বলেন রোজ একটু করে করলা খেতে। এর মধ্যে যে গুণাবলী পাওয়া যায় তা খুব কম সবজিতেই পাওয়া যায়।
তবে তেতো হলেও অনেকেরই প্রিয় সবজি করলা।
ভাজা হোক বা শুক্ত করলার কদর বাঙালি হেঁশেলে অনস্বীকার্য । করলাকে আবার রুচিবর্ধক সবজি হিসেবেও ধরা হয়। এমনকী পুজোর ভোগে পাঁচ ভাজার তালিকাতেও থাকে করলা।
করলার পুষ্টিমূল্য অনেক। এর মধ্যে থাকে ভিটামিন-সি, আয়রন, জিঙ্ক, পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টকর উপাদান থাকে করলায়। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য করলা বেশ উপকারী। আবার ওজন কমাতে সাহায্য করে করলা। রোজ সকালে খালিপেটে করলার রস খেলেও অনেক কাজ হয়।
শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বেশ কার্যকর এই সবজি। তবে করলার সঙ্গে কিছু জিনিস রান্না করে খেলে বিপদ বাড়তে পারে। তাই করলার সঙ্গে ভুলেও এই সবজিগুলো রান্না করবেন না। দেখে নিন কোন কোন সবজি আছে এই তালিকায়।
দুধ একটি সুষম খাবার। তবে করলার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে রান্না করা স্বাস্থ্যকর নয়, যদিও বাঙালি হেঁশেলে দুধ-শুক্তোর প্রচলন সেই করে থেকে হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করলা ও দুধ একসঙ্গে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। শুক্তোয় তাই অনেকেই নারকেলের দুধ ব্যবহার করেন।
করলা আর পাকা আম একসঙ্গে নয়। যে কারণে শুক্তোর পর শেষ পাতে পাকা আম খেতে মানা করা হয়। এমনকী শুক্তো ও আমের চাটনিও একসঙ্গে খাবেন না। এতে হজমের সমস্যা হয়। অ্যাসিডিটি, বুক জ্বালা নানা সমস্যা হতে পারে।
মূলো আর করলা কোনও ভাবেই একসঙ্গে রান্না করা চলবে না। পুজোয় পাঁচ ভাজার সঙ্গেও তাই এই সবজি কখনও থাকে না। পাঁচমিশালি সবজিতেও এই দুই সবজি একেবারে রাখবেন না। মূলোর টকের সঙ্গেও করলা ভাজা চলবে না।
ঢ্যাঁড়শ আর করলা এই দুই উপকারী সবজি। তবে একসঙ্গে মোটেই এই দুই খাবার খাওয়া চলবে না। খেলেই কিন্তু শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে শুরু করে গ্যাস, অম্বল সব রকম সমস্যা আসতে পারে। আর তাই এই দুই খাবার খেলেও খুব বুঝে শুনে খেতে হবে।