মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রকে ধর্ষণে অভিযুক্ত একজন নারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রকে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করার দায়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। টেনেসির কোভিংটন পুলিশ বিভাগের এক বিবৃতিতে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার দেশটির সংবাদমাধ্যম পিপলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ অ্যালিসা ম্যাককমন (৩৮) নামের ওই শিক্ষককে তার কোভিংটনের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রকে লাঞ্ছিত ও যৌন হয়রানি করার নতুন অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে।
পিপল বলছে, এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর চার্জার অ্যাকাডেমির সাবেক ওই শিক্ষককে এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে দুই সন্তানের জননী এই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেননি।
টেনেসির কোভিংটন পুলিশ বিভাগ (সিভিডি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় বলেছে, সাবেক শিক্ষক অ্যালিসা ম্যাককমন একটি নতুন ফোন নম্বর ব্যবহার করছেন এবং একজন ভুক্তভোগীর সাথে আবারও যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে সিপিডির অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তথ্য পেয়েছে।
বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, কিশোরদের কাছে পরিচিত একটি কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করে ম্যাককমন এক ভুক্তভোগীকে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিলেন। প্রায়ই নগ্ন ছবি পাঠানোর আগে একই ধরনের কোড পূর্বেও ব্যবহার করেছিলেন তিনি। আর ওই কোডের মাধ্যমে কিশোর একা আছেন কি না তা তিনি নিশ্চিত হতেন ম্যাককমন। পূর্বে একই নম্বরের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ভুক্তভোগী কিশোরের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
কোভিংটনের পুলিশ প্রধান ডোনা টার্নার বলেছেন, ‘ম্যাককমনের কর্মকাণ্ড কেবল আতঙ্কিত হওয়ার মতোই নয়, বরং সিপিডি তার সই করা বন্ডের শর্তাবলির পরিষ্কার লঙ্ঘনের বিষয়েও উদ্বিগ্ন।’
পরে অভিযুক্ত নারী শিক্ষককে টেনেসির টিপটন কাউন্টি কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রের সাথে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার দায়ে অভিযুক্ত এই শিক্ষককে টিপটন কাউন্টির জেনারেল সেশন কোর্টে হাজির করার কথা রয়েছে। তার আগে পর্যন্ত তাকে কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে।