রাশিয়ার ঘরে ঢুকে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে ইউক্রেন। রুশ আগ্রাসানের বদলা নিতে ব্যবহার করছে নিষিদ্ধ ক্লাস্টার বোমা। যা কিয়েভের হাতে তুলে দিয়েছে আমেরিকা। এমনই অভিযোগ তুলেছে মস্কো। মার্কিন প্রশাসনের অস্ত্রবলে বলীয়ান হয়ে ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে জেলেনস্কির ‘লিলিপুট’ বাহিনী।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ইউক্রেন সীমান্ত সংলগ্ন রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে হামলা চালায় জেলেনস্কি বাহিনী। সেখানে কিয়েভের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছেন গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ। টেলিগ্রামে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘ইউক্রেনের এই হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ যদিও এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে এখনও কিয়েভের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গত কয়েক মাসে এইভাবেই পালটা মারে যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি বদলে ফেলেছে ইউক্রেন। দিন দিন আত্মবিশ্বাসে ভর করে নতুন নতুন রণনীতি নিচ্ছে কিয়েভ।
উল্লেখ্য, রাশিয়া যে ভয়াবহ হাতিয়ার ব্যবহারের অভিযোগ তুলছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে, সেই ক্লাস্টার বোমা দিয়ে কিয়েভকে সাহায্য করছে আমেরিকা। এর আগেও এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন জেলেনস্কি। ক্লাস্টার বোমা নাকি এতটাই ভয়ংকর যে বিশ্বের ১২০টি দেশ এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।
জানা যায়, ক্লাস্টার বোমা ফেটে গিয়ে আরও অনেক ছোট ছোট বোমা বেরিয়ে বিরাট এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায়। বুমারু বিমান বা জমি থেকেও এই বোমা ছোঁড়া যায়। এক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট জায়গা নয়, বড় অঞ্চল নিশানায় আসছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা খুব বেশি। তাই এই বোমার ব্যবহার এক রকম নিষিদ্ধ।
বলে রাখা ভালো, অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত কড়া আইনের ফাঁক গলে ইউক্রেনকে এসব হাতিয়ার দিচ্ছে হোয়াইট হাউস। ডেমোক্র্যাট পার্টির অন্দরেও এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশ বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের আড়ালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ নেমেছে আমেরিকা। এমন অভিযোগও তুলেছে ক্রেমলিন।