জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সব জায়গায় সব মানুষের জন্য অংশগ্রহণমূলক, নিরাপদ, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই মানব বসতি গড়ে তোলার জন্য যৌথ প্রচেষ্টার অঙ্গিকার চেয়েছেন।
২ অক্টোবর বিশ্ব বাসস্থান দিবস। এ উপলক্ষ্যে আগাম বার্তায় জাতিসংঘ প্রথান বলেন, ‘স্থানীয় পদক্ষেপ অত্যাবশ্যক এবং বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা অপরিহার্য। এই বিশ্ব বাসস্থান দিবসে, আসুন আমরা সকল মানুষের জন্য, সর্বত্র অংশগ্রহণমূলক, নিরাপদ, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই মানব বসতি গড়ে তোলার অঙ্গীকার করি।’
চলতি বছরের বিশ্ব বাসস্থান দিবসটি ‘স্থিতিস্থাপক শহুরে অর্থনীতি’ এবং অংশগ্রহণমূলক, সবুজ এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির চালক হিসেবে শহরের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
এই প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, শহরগুলোকে অর্থনৈতিক ধাক্কা এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু জরুরি অবস্থা থেকে শুরু করে বৈষম্য বৃদ্ধি পর্যন্ত, অবশ্যই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় ২০৩০ কোয়ালিশনের মাধ্যমে আমরা এই সঙ্কটগুলোকে স্থল থেকে মোকাবিলা করতে এবং টেকসই নগরায়নকে এগিয়ে নিতে জাতিসংঘের সমগ্র ব্যবস্থাকে একত্রিত করছি।’
গুতেরেস বলেন, স্থানীয় শূন্য বর্জ্য উদ্যোগ চক্রাকার অর্থনীতি তৈরিতে সহায়তা করছে। সবুজায়ন সম্প্রসারণে জনসাধারণের প্রচেষ্টা গরমের সময় শহুরে প্রকৃতিকে শীতল করতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি খাদ্য বর্জ্য কমাতে স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা উন্নীত করা আমাদের মূল পদক্ষেপ।’
তবে বৃহত্তর স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা এবং দুর্বল জনসংখ্যাকে আরও ভালভাবে রক্ষা করার জন্য টেকসই অবকাঠামো, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের পর্যাপ্ত বাসস্থানের জন্য অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের প্রধান।
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে আমাদের অবশ্যই বিদ্যুৎ, জল, স্যানিটেশন, পরিবহন এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবাগুলোর সহজলভ্যতা উন্নতি করার জন্য কাজ করতে হবে।’