স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করলো স্বামী


সুমাইয়া তাবাস্সুম: , আপডেট করা হয়েছে : 01-10-2023

স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার পর আত্মহত্যা করলো স্বামী

সাংসারিক বিষয়ে মনোমালিন্য থেকে রোজকার ঝগড়া চলত স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে। আর সংসারে অভাব–অনটনও ছিল। তা নিয়েই দু’‌জনের মধ্যে ঝামেলা শুনতে পেতেন প্রতিবেশীরা। কিন্তু তা বলে যে এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটবে সেটা কেউ কল্পনা করতে পারেননি। স্ত্রীকে গলার নলি কেটে খুন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন স্বামী এটা নিয়েই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার পাতুলিয়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় খড়দা থানার পুলিশ।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ রবিবার সকালে এই খুনের ঘটনা সামনে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয় খড়দায়। তারপর সময় এগোতেই দেখা যায় আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। দাম্পত্য কলহ এই জায়গায় নিয়ে এসেছিল বলে মনে করছেন সকলে। পাতুলিয়ার বাড়ি থেকে এক দম্পতির জোড়া দেহ উদ্ধার হতেই গোটা এলাকায় চর্চা শুরু হয়। প্রথমে স্ত্রী পূজার গলার নলি কেটে খুন করা হয়। তার পর নিজে আত্মঘাতী হন স্বামী পাপ্পু সাউ। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। সাংসারিক নিত্যদিন গোলমাল লেগে থাকা থেকেই চরম পরিণতি ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ অফিসাররা।

পুলিশ সূত্রে খবর, পুজা ও পাপ্পুর বিয়ে হয়েছিল কয়েকবছর আগে। প্রথমে বিষয়টি ঠিকঠাক চললেও পরে শুরু হয়ে যায় দাম্পত্য কলহ। এটা শুরু হয় আর্থিক অনটন থেকেই। অন্যান্য দিনের মতোই আজ, রবিবার সকালে পূজা ও পাপ্পুর বাড়িতে কাজ করতে আসেন পরিচারিকা। কিন্তু বারবার ডেকেও তিনি সাড়া পাননি। তখন তাঁর সন্দেহ হওয়াতেই ওই পরিচারিকা বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান। ঘরে ঢুকতেই তিনি দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন পূজা। আর ঘরের ভিতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে পাপ্পু। পরিচারিকা এই দৃশ্য দেখে চিৎকার করে ওঠেন। তাতে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তাঁরাই খবর দেন খড়দা থানায়। পুলিশ এসে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে? আসলে আর্থিক একটি বিষয় নিয়ে পূজা খোঁটা দিয়েছিলেন পাপ্পুকে। সেটা সহ্য করতে পারেননি স্বামী পাপ্পু। তখন রাগের মাথায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলার নলি কেটে দেন। তারপর স্ত্রীর দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়লে অঘটন বুঝতে পারেন পাপ্পু। তখন নিজের জীবনও শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। আর আত্মঘাতী হন। এখন ময়নাতদন্তের‌ রিপোর্ট হাতে পেলেই গোটা বিষয়টি বোঝা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, সাংসারিক অশান্তির থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। ছুটির দিনে এই ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাড়ির সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]