গরমে শান্তি পেতে এসি চালিয়ে ঘুমিয়েছিলেন মা ও মেয়ে। কিন্তু মাঝরাতে হঠাৎ বিস্ফোরিত হয় সেই এসি। আর এতেই প্রাণ হারান তারা। মূলত এসি ইউনিট বিস্ফোরণের পরে ধোঁয়ায় ঘর আচ্ছন্ন হয়ে গেলে শ্বাসকষ্টে মারা যান ওই মা ও মেয়ে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর আম্বাত্তুরে। রোববার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার আম্বাত্তুরে বাড়িতে এসি ইউনিট বিস্ফোরণের পরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন অবস্থায় এক মা ও মেয়ে শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। বিদ্যুতের ওঠানামা বা অস্থিরতার কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।
নিহতরা হচ্ছেন- মা হাসিনা বেগম (৫০) এবং তার মেয়ে নাজরিয়া (১৬)। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, শনিবার ভোর ৫টার দিকে প্রতিবেশীরা জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে ঘরে প্রবেশ করে। সেখানে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ঘরে ওই নারী ও তার মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
আগুনে জামাকাপড় ও সোফা পুড়ে গেছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
পরে ওই দুজনকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক হাসিনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করলেও নাজরিয়াকে জীবিত দেখতে পান এবং তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনিও পরে মারা যান। দমকল বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
নিহত হাসিনা স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে কাজ করতেন, এবং তার মেয়ে অন্য একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। হাসিনার স্বামী রহমত কয়েক বছর আগে মারা যান এবং তারপর মা-মেয়ে দুজনে মেনাম্বেদুতে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেছিলেন।
পুলিশ এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছে এবং মৃতদেহগুলোকে ময়নাতদন্তের জন্য কিলপাউক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশি অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় বিদ্যুতের বেশ অস্থিরতা ছিল।
দমকল বিভাগের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটিই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করছি। এয়ার কন্ডিশনার ইউনিটটি দীর্ঘদিন ধরে মেরামত করা হয়নি, তাই কিছু ক্ষতিগ্রস্ত তারের কারণে সেটিতে হয়তো স্পার্ক হতে পারে।’