বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটক ভিক্ষুকদের ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এ ছাড়া সৌদি আরবের মসজিদুল হারামের মতো পবিত্র স্থানগুলোতে আটক পকেটমারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাকিস্তানি রয়েছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের স্ট্যান্ডিং কমিটিকে এই তথ্য জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রবাসী ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সচিব জুলফিকার হায়দার।
জুলফিকার হায়দার বলেন, পাকিস্তান থেকে বিদেশে যাওয়া ভিক্ষুকের সংখ্যা বাড়ছে। এই ভিক্ষুকদের অনেকে ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব এবং ভ্রমণের ভিসা লাগিয়ে ইরান, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ভিক্ষুকদের জন্য নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে জাপান।
দক্ষ জনশক্তি রফতানিতে অতীতে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সচিব জুলফিকার হায়দার আশা প্রকাশ করে বলেন, পেশাদাররা যখন বিদেশে যাবেন, তখন পাকিস্তানে রেমিট্যান্সের (প্রবাসী আয়) পরিমাণ বেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, অদক্ষ ব্যক্তিদের চেয়ে সৌদি আরব এখন দক্ষ শ্রমিক পছন্দ করে।
সিনেটে আলোচনায় প্রবাসী পাকিস্তানি শ্রমিকদের দক্ষতা এবং বিদেশি নিয়োগদাতাদের কাছে তাদের বিশ্বস্ততা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জুলফিকার হায়দার। এদিক দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের শ্রমিকেরা পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছেন বলে স্বীকার করেন তিনি।
এ সময় সিনেটর রানা মেহমুদুল হাসান জাপানে বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদার কথা তুলে ধরে বলেন, দেশটিতে ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান শ্রমিক পাঠাচ্ছে। পাকিস্তানে প্রায় ৫০ হাজার প্রকৌশলী বেকার রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রানা মেহমুদুল হাসান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ পাকিস্তানি কাজ করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) রয়েছেন ১৫ লাখ পাকিস্তানি। আর কাতারে পাকিস্তানি শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।