টানা তিন মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করছিল বাবা। শেষপর্যন্ত শনিবার বাবাকে গুলি করে খুন করল ১৪ বছরের কিশোরী কন্যা। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে কিশোরী জানিয়েছে, তাদের বাড়ি লাহোরের গুজ্জরপুরায়। দিনের পর দিন বাবার পাশবিক আচরণের শিকার হতে হয়েছে তাকে। এরপর শনিবার বাবার বন্দুক হাতে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে তাকে। কিশোরী জানিয়েছে, এই নারকীয় যন্ত্রণা সে আর সইতে পারছিল না। টানা ৩ মাস তার সঙ্গে ওই আচরণ করেছে তার বাবা।
জানা গেছে, ভোর ৬টার সময় বাবার ঘরে ঢুকে তাকে গুলি করেছে কিশোরী। গুলি সোজা মাথায় লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর বাবার। পুলিশ কিশোরীর বিবৃতি রেকর্ড করার পাশাপাশি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
জানা যাচ্ছে, ওই পরিবার প্রথমে বিষয়টি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের কাছেও খবর দেওয়া হয়নি। কিন্তু প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। ওই কিশোরী, তার মা, ভাই ও এক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবারই নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে পাক আদালত। তারপরই সামনে এল এই ঘটনা।