ছোট থেকে বড় হওয়ার সঙ্গে উচ্চতার একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কেননা শিশুর উচ্চতা বলে দেয় তার শরীর সুস্থ আছে কি না। যদিও ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ উচ্চতা জেনেটিক্স দ্বারা নির্ধারিত হয়। ২০ শতাংশ নির্ভর করে পুষ্টি এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসের উপর। জেনেটিক্স কোনো ব্যক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
তবে পুষ্টি এবং জীবনযাত্রার অভ্যাসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অপর্যাপ্ত পুষ্টি কোনো শিশুর বৃদ্ধিকে কম করে দিতে পারে, যতই শক্তিশালী জিন হোক না কেনো।
জেনে নিন কী খেলে বাচ্চাদের হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (এইচজিএইচ) এবং ইনসুলিনের মতো গ্রোথ ফ্যাক্টর -১ (আইজিএফ -১) বাড়াতে সহায়তা করবে-
ডিম: প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১২, রাইবোফ্ল্যাভিনের এবং আয়রনের অন্যতম উত্স ডিম। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোটিন কোষের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে। বাচ্চাদের প্রতিদিনের ডায়েটে ডিমের সাদা অংশ যুক্ত করতে পারেন। তবে, যদি কোনো অ্যালার্জি সমস্যা থাকে তবে ডিম খাওয়াবেন না।
সয়াবিন: সয়াবিন প্রোটিন, ফোলেট, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য এটি বেশ উপকারী। কার্যকর ফলাফলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইদিন শিশুকে সয়াবিন খাওয়ান।
সবুজ শাক-সবজি: সবজি কেবল প্রয়োজনীয় শক্তি দেয় না, এগুলো বাচ্চাদের ক্যালসিয়ামের সরবরাহও করে। সবুজ পাতাযুক্ত শাকসব্জি ওজন এবং উচ্চতার ভারসাম্য বজায় রাখে যা বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হয়। স্যুপ, স্টিউ, পাস্তা বা স্মুদি আকারে পালং শাক, চাইনিজ বাঁধাকপি, ক্যাল বা ব্রকলি খাওয়াতে পারেন।
শস্যদানা: এগুলো ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, দস্তা, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এই খনিজগুলো হাড়ের শক্তি এবং খনিজায়ন তৈরিতে সহায়তা করে।
দই: দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং জিঙ্কের ভালো উত্স। এতে থাকা প্রোবায়োটিক অপুষ্ট শিশুদের বৃদ্ধি এবং বিকাশে সহায়তা করে। যদি আপনার বাচ্চারা দই পছন্দ না করে তবে তাদের পনির খাওয়াতে পারেন।
বাদাম: বাদামকে পুষ্টির পাওয়ার হাউস বলা হয়। এতে ভিটামিন, খনিজ, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং প্রোটিন রয়েছে। এগুলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।
এছাড়াও বাচ্চাদের নিয়মিত কিছু শারীরিক ক্রিয়ায় জড়িত করুন। পর্যাপ্ত ঘুম এবং তাদের ব্যায়াম করতে উত্সাহ দিন।