আমরা প্রায় সবাই এটি জানি যে আমলকি আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেইসঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। টক ও খানিকটা তেতো স্বাদের বলে অনেকে এই ফল খেতে তেমন পছন্দ করেন না। কিন্তু আমলকিকে বলা হয় সুপারফুড। প্রচুর ভিটামিন সি যুক্ত এই ফল খাবারের তালিকায় যোগ করে নিন।
ওজন কমাতে কার্যকরী হিসেবে পরিচিত: আমলকি ওজন কমাতে সাহায্যকারী হিসেবে পরিচিত। সম্ভবত অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কারণেই এ ধারণা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমলকিতে থাকে প্রচুর ফাইবার। যে কারণে আমলকি খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখার অনুভূতি দেয়। এই ফলে থাকা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আমাদের বিপাক ও হজমক্ষমতা ভালো রাখতে কাজ করে। ২০১৭ সালের এক গবেষণায় দেখা যায় আমলকি খেলে তা পেটের মেদ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ওজন ও চর্বিযুক্ত ইঁদুরের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়েছিল।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে: গবেষণায় আমলকিতে হাইপোগ্লাইসেমিক, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক, অ্যান্টি-হাইপারলিপিডেমিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই ফলে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি, ট্যানিন, পলিফেনল, ফাইবার, খনিজ, প্রোটিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকার কারণে এসব বৈশিষ্ট্যর উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এসব উপকারী উপাদানের মাধ্যমে আমলকি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।
কীভাবে আমলকি খাবেন: আমলকি নানা উপায়েই খাওয়া যায়। এটি সাধারণত কাঁচা, আচার তৈরি করে, শুকিয়ে গুঁড়া করে বা মোরব্বা তৈরি করে খাওয়া হয়। সকালে খালি পেটে বিভিন্ন সবুজ শাক-সবজি বা ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া হয় আমলকির রস। আমলকির পুষ্টি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সামান্য লবণ দিয়ে কাঁচা খেয়ে নেওয়া।
আমলকির জুস তৈরি: কয়েকটি আমলকি ধুয়ে টুকরা করে নিন। এবার এর সঙ্গে জল মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। অল্প অল্প করে জল মিশিয়ে ব্লেন্ড করুন তাতে আমলকি ভালোভাবে ব্লেন্ড হবে। চাইলে মিশ্রণটি ছেঁকে নিতে পারেন। সামান্য গোল মরিচের গুঁড়া ও বিট লবণ মিশিয়ে পান করুন। মিষ্টি স্বাদের জন্য সামান্য মধু মেশাতে পারেন।