নাটোরের সিংড়ায় চুরি যাওয়া স্বর্ণ ও টাকার সন্ধান করতে গিয়ে মাছের খাদ্য, ওষুধ ও কৃষি কীটনাশক তৈরির নকল কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নকল কারখানার মালিক বিউটি বেগমকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আল ইমরান।
জানা যায়, সিংড়া পৌর শহরের চাঁদপুর মহল্লার ডাবলু হোসেনের বাসা থেকে বেশ কয়েকদিন আগে স্বর্ণ, নগদ টাকা ও শাড়ি চুরি হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে নকল কারখানার মালিক বিউটি বেগমকে সন্দেহ হয় তাদের। থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য নাম, ঠিকানা সংগ্রহ করতে গেলে তার ভাড়া বাসায় নকল কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। শনিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয়রা কারখানার সন্ধান পাওয়ার পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও সিংড়া থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসে। মাছের খাদ্য, ওষুধ ও কৃষি কীটনাশক নকল প্রসাধনীতে তৈরি ও কারখানার অনুমতি না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরানের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারি লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডিত নকল কারখানার মালিকের নাম বিউটি বেগম। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি নাটোর শহরের কান্দিভিটা এলাকার মো. ইদ্রিশ আলীর স্ত্রী।
বিউটি বেগম জানান, তারা স্বামী-স্ত্রী সিংড়ার চাঁদপুর মহল্লায় ভাড়া বাড়িতে গত ৯ মাস যাবৎ এ কারখানা পরিচালনা করে আসছেন। এর আগে তারা রাজশাহীতে ৩ বছর নকল কারখানা পরিচালনা করে খাদ্য ও ওষুধ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিলেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল ইমরান বলেন, বিউটি বেগম নামের একজনকে মাছের খাদ্য, ওষুধ ও কৃষি কীটনাশক নকল প্রসাধনীতে তৈরি ও কারখানার অনুমতি না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।