বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার সনদপত্র ও নম্বরপত্র উইপোকায় খেয়ে নিয়েছে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করায় এ অবস্থা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করেছে। সনদপত্র পোকায় খাওয়ায় বিপদে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। যেগুলো এখনও কিছুটা ভালো আছে, সেগুলো রোদে শুকিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টি থেকে প্রতি বছর শতাধিক শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দেয়। পাস করা শিক্ষার্থীদের সনদপত্র ও নম্বরপত্র এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে বোর্ড থেকে পাঠানো হয় বিদ্যালয়ে। গত পাঁচ বছরে বিদ্যালয় থেকে পাস করা পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর সনদপত্র আসে। অনেকেই তা সংগ্রহ করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থী নেয়নি।
সনদপত্র ও নম্বরপত্র নেয়নি এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কয়েকজন সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পারে উইপোকায় খেয়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গচ্ছিত সনদপত্র খুঁজতে গিয়ে দেখতে পান, প্রায় প্রতিটির কিছু অংশ উইপোকায় খেয়েছে। বিষয়টি পরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ নিয়ে এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।
২০২০ সালে মাধ্যমিক পাস করা আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য, তারটিসহ ২০২০ সালের আগে বিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্র উইপোকায় ক্ষতি করেছে। এসব সনদপত্র বোর্ড থেকে তুলতে হয়রানির পাশাপাশি অর্থ ব্যয় হবে।
এলাকাবাসী বলছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সনদপত্র ও নম্বরপত্র নষ্ট হয়েছে। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে এ অবস্থা হতো না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল বারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, করোনাকালে দীর্ঘ সময় অফিস কক্ষ বন্ধ ছিল। এ কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। সনদপত্র ও নম্বরপত্র ছাড়াও মূল্যবান কাগজপত্র স্টিলের আলমারিতে গচ্ছিত ছিল। সেখানেই উইপোকায় নষ্ট করেছে। কিছু সনদপত্র বের করে রোদে শুকিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সোনাতলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।