খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে বরিশাল থেকে পটুয়াখালীমুখী বিএনপির রোডমার্চ শুরু হয়েছে।
শনিবার বেলা সোয়া ১১টায় বরিশাল বেলস পার্কে সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। রোডমার্চটি বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর হয়ে পটুয়াখালীতে গিয়ে শেষ হবে।
রোডমার্চ শুরুর আগে সেখানে সমাবেশ হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বক্তৃতা করেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার।
ঘোষিত কর্মসূচির চতুর্থ দিনে আজ ৬০ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এই কর্মসূচি পালন করবে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে ঝালকাঠিতে দুটি পথসভা হওয়ার কথা রয়েছে।
‘সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ একদফা দাবিতে’ এই রোডমার্চের আয়োজন করে দলটি। বৃহস্পতিবার ভৈরব থেকে সিলেটগামী রোডমার্চ হয়।
কর্মসূচি উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীরা বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ছাড়াও কয়েক শত মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দিয়েছেন। মাথায় ব্যান্ড ও ক্যাপ পড়ে, রং-বেরংয়ের গেঞ্জি গায়ে এবং হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী এসময়ে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। বিগত নির্বাচনে দলের এমপি প্রার্থী, মনোনয়ন প্রত্যাশী, কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার উপচে পড়া ভিড় আর উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে রোডমার্চ বরিশাল থেকে শুরু হয়।
রোডমার্চপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুখ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।