কাজু, আমন্ড, পেস্তা বা আখরোট সব বাদামই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। অন্য বাদামের মতোই আখরোটেরও রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্যগুণ। আখরোট এমন এক প্রকার বাদাম যার মধ্যে পুষ্টিগুণ রয়েছে ভরপুর।
আখরোট এক প্রকার বাদাম যাকে ইংরেজিতে ওয়ালনাট বলা হয়। এটি যুগলেন্স গোত্রীয় উদ্ভিদ। এই গোত্রের যে কোন উদ্ভিদ থেকে বাদাম উত্পন্ন হয়।
তবে, যে প্রজাতির গাছ আখরোটের জন্য খুব পরিচিত তার বৈজ্ঞানিক নাম যুগলেন্স রেজিয়া। আখরোট এমন ধরণের বাদাম যেখানে ৬৫% চর্বি এবং ১৫% প্রোটিন থাকে। এইখানে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে। তবে, যতটুকু পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে তার অধিকাংশই হল ফাইবার।
গবেষকদের মতে, যে কোনও ধরণের বাদামই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিশেষত যাঁরা নিয়মিত আখরোট খান তাঁদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী। ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে প্রতিদিন খান আখরোট।
স্মৃতিশক্তি বাড়িতে তুলতে সাহায্য করে আখরোট। এতে থাকা ওমেগা থ্রি অবসাদ কাটাতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতে সহযোগী হয়।
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি থাকে, যা চামড়াকে বুড়িয়ে যেতে বাধা দেয়। স্ট্রেস কম থাকলে আপনার চামড়া উজ্জ্বল হবে। ভিটামিন বি-এর সঙ্গে ভিটামিন ই মিশে তা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত আখরোট খেলে ওজন কিন্তু নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে রয়েছে ওমেগা ৩, প্রোটিন এবং ফাইবার, যা দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আখরোট খান।
পেট পরিষ্কার রাখতে শরীরে ফাইবার থাকা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত যে খাবারগুলি থেকে শরীরে প্রোটিন আসে, সেগুলিতে ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত কম। আখরোটে থাকা ফাইবার হজমক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
শরীরের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই জরুরি। শরীরে ঘুরে বেড়ানো ফ্রি র্যাডিক্যালস হার্টের উপর চাপ ফেলে। আখরোটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে। এটি শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী।