বলিউড অভিনেত্রীদের একটি দল আমন্ত্রিত ছিলেন নতুন সংসদ ভবনে। এএনআই দ্বারা শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে দেখা যায় বলি-তারকাদের মিষ্টি বিতরণ করছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। আমন্ত্রিতের তালিকায় নাম ছিল কঙ্গনা রানাওয়াত ও এশা গুপ্তার। উভয়ই মঙ্গলবার সংসদে উত্থাপিত মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে নিজেদের সমর্থন জানান।
মিষ্টি বিতরণের সময় অনুরাগ ঠাকুর কঙ্গনাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি প্রথমবার সংসদে আসলেন?’ যাতে মনিকর্ণিকা অভিনেত্রীর তাৎক্ষণিক জবাব ‘হ্যাঁ স্যার’। প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে কঙ্গনা এএনআই-কে বলেন, ‘নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনটি নারীর ক্ষমতায়ন এবং উত্থানের জন্য রাখা হয়েছে। এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত, যা শাসক দল এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। তিনি যে কোনও বিষয় বেছে নিতে পারতেন, কিন্তু তিনি নারী, মেয়ে শিশু এবং তরুণী ও বৃদ্ধ নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি নারীদের অগ্রাধিকার হিসেবে রেখেছেন...এটি চমৎকার।’
‘এটি সমগ্র দেশের ক্ষেত্রে একটি নজির হয়ে উঠবে। নারীরা দেশের অগ্রাধিকার। শুধু তাই নয় প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি সম্পর্কেরও অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’, আরও জানান কঙ্গনা। নতুন সংসদ ভবন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানান, ভবনটি ভারতীয় সংস্কৃতিকে খুব সুন্দরভাবে প্রদর্শন করে সকলের সামনে।
অন্য দিকে, এশা গুপ্তাও এএনআইকে জানান, ‘এটি একটি সুন্দর বিষয় যে প্রধানমন্ত্রী মোদী নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন চলাকালীন এমন একটি পদক্ষেপ নিলেন। খুবই প্রগতিশীল চিন্তা...আমি শৈশব থেকেই রাজনীতিতে যোগ দেবার কথা ভেবেছিলাম...দেখা যাক এই বিল পাশ হলে ২০২৬ সাল থেকে আপনারা আমাকেও দেখতে পারেন রাজনীতির ময়দানে।’কঙ্গনা ও এশা ছাড়াও আমন্ত্রিতদের মধ্যে ছিলেন স্বপ্না চৌধুরী।
কঙ্গনার নুক্তির অপেক্ষায় থাকা দুটি ছবি নিয়েই দর্শকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। এক তো হল ‘এমার্জেন্সি’। এই ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনা ও প্রযোজনাও করেছেন কঙ্গনা। তাঁকে দেখা যাবে ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে। অন্য দিকে রয়েছে দক্ষিণের সিনেমা চন্দ্রমুখী ২। চন্দ্রমুখী-র সিক্যুয়েল ছিল ভুল ভুলাইয়া। তবে ভুল ভুলাইয়া ২ বলিউডে এলেও, চন্দ্রমুখী ২ দক্ষিণে এল বেশ দেরি করেই। যদিও ভুল ভুলাইয়া ২ আর চন্দ্রমুখী ২-এর গল্প একেবারে আলাদা। ট্রেলার বলছে, এক পরিবার নিজেদের উপর সঙ্কট কাটাতে একটি বড় প্রসাদে থাকতে আসে। আর সেখানেই ভূতনী চন্দ্রমুখীর বাস। যে কয়েকশো বছর আগে ছিল রাজার দরবারের প্রধান নর্তকী। সেই রাজার সঙ্গে সেই পরিবারের একটি ছেলের চেহারার অবিকল মিল। ২০০ বছর পর ফের জেগে ওঠে চন্দ্রমুখী।