টাইট জিনস পরা আজকাল ফ্যাশন সিম্বল হয়ে উঠেছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি এই ধরনের জিনস পরে থাকেন। অফিস কিংবা অন্যত্র, টাইট জিনস বেছে নেনে তাঁরা। দেখতে ভাল লাগলেও এই ফ্যাশনই আপনাকে ঠেলে দিতে পারে বিপদের দিকে। অবাক হচ্ছেন তো? তবে এটাই সত্যি। আঁটোসাঁটো জিনসেই বাড়ছে বিপদ। হচ্ছে একাধিক স্বাস্থ্যের সমস্যা।
তাই সতর্ক হতে হবে। জানুন কী ক্ষতি করছেন শরীরের…
পিঠে ব্যথা: এই ধরনের জিনস পরলে অনেক সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল কোমরে ব্যথা। টাইট জিনস পরার কারণে হিপ জয়েন্ট এবং মেরুদণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে. ফলে তীব্র ব্যথা শুরু হয়। এটিকে সাধারণ ব্যথা বলে অনেকসময়ই এড়িয়ে যায় মানুষ। তারা বুঝেই উঠতে পারেন না যে, জিনসের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে।
জরায়ু সংক্রমণ: টাইট জিনস পরার ফলে অনেক মহিলার অল্প বয়সেই জরায়ু সংক্রমণ হতে পারে। এক্ষেত্রে মহিলারা প্রাথমিক পর্যায়ে এই সংক্রমণ সম্পর্কে খুব একটা সচেতন নন । যদি সময়মতো জরায়ু সংক্রমণের চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে মহিলাদের পরবর্তীতে মা হতে অসুবিধা হতে পারে। এ জন্য ঢিলেঢালা জিনস পরাই ভাল।
পেশীর দুর্বলতা: টাইট জিনস পরার কারণে তলপেটের এবং কোমরের পেশী ধীরে-ধীরে দুর্বলহয়ে পড়ে। টাইট জিন্স, শরীরের সঙ্গে এমনভাবেই চেপে বসে থাকে যে, হাড় এবং জয়েন্টগুলির নাড়াচড়ায় সমস্যা তৈরি হয়। এ কারণে পিঠ ও কোমর ছাড়াও পায়ে ব্যথা হয়। এবং ক্রমে পেশী দুর্বল হতে থাকে।
ত্বকে চুলকানি এবং জ্বালা: দীর্ঘ সময় ধরে টাইট বা ফিটিং জিনস পরলে কখনও কখনও ত্বকে তীব্র চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার সমস্যা হতে পারে। কারণ টাইট জিনস পরলে অনেকসময়ই গোপনাঙ্গে বায়ু চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঘাম হয়, কিন্তু সেই ঘাম শুকোয় না। এ কারণে ত্বকে তীব্র চুলকানি ও জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই-ই নয়, টাইট জিন্স পরা মহিলাদের মধ্যে ভালভাডিনিয়ার ঝুঁকি দেখা দেয়।