প্রথম 'মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান' প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল মলদ্বীপে। তার পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে পাকিস্তান জুড়ে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে তত্ত্বাবধায়ক প্র্ধানমন্ত্রী তথা সরকার-সব মহলে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। সমালোচনায় বিদ্ধ এই প্রতিযোগিতার বিজয়িনী এরিকা রবিন। নভেম্বরে এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত হবে এ বছরের 'মিস ইউনিভার্স' প্রতিযোগিতা।
সেখানে কি পাকিস্তানি তরুণী এরিকা যোগ দিতে পারবেন? সে দেশের পরিস্থিতিতে উঠেছে এই প্রশ্ন। চরম সমালোচিত 'মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান'-এর আয়োজকরাও। প্রসঙ্গত এই প্রতিযোগিতার শেষ ধাপে আরও ৩ পাকিস্তানি প্রতিযোগিণীকে হারিয়ে বিজয়িনীর শিরোপা পান এরিকা রবিন।
কিন্তু এরিকা তথা এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন বিভিন্ন মহল। তাঁদের প্রশ্ন, এই অনুষ্ঠানের আয়োজক কারা? পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার উল হক কাকর এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানতে চান কী করে অনুমতি না নিয়ে পাকিস্তানের নাম ব্যবহার করা হল? তাঁর মতে, মলদ্বীপে অনুষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিযোগিতা লজ্জাজনক এবং পাকিস্তানি মেয়েদের প্রতি অপমানজনক।
এদিকে ২৪ বছর বয়সি বিজয়িনী এরিকা বলছেন, ''আমি এমন কিছু করব না যাতে আমার দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'' সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন ''আমাদের দেশের সংস্কৃতি অত্যন্ত সুন্দর যা নিয়ে আলোচনা করা হয় না। পাকিস্তানের মানুষ দয়ালু ও অতিথিপরায়ণ। অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর আমার দেশ পাকিস্তানে পর্যটন শিল্প বেড়ে উঠুক।'' গত তিন বছর এরিকা মডেলিং করছেন। বেশ সুনামও করেছেন। বিজ্ঞাপন দেখে তিনি আবেদন করেছিলেন ইউজেন গ্রুপের প্রধান জোশ ইউগেন আয়োজিত 'মিস ইউনিভার্স পাকিস্তান' প্রতিযোগিতায়। তার পর থেকেই নিজের দেশের নানা মহলের রোষানলে পড়েছেন এই বিরাগভাজন।