পরিচালক তাজু কামরুল পরিচালিত 'ছায়াবাজ' ছবির শুটিং মাঝপথে ছেড়েই বেরিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই নৃত্য পরিচালক মাইকেল তাঁর হাত ধরায় তিনি বাধা দেন। এও জানিয়েছিলেন প্রযোজক মণিরুলের সঙ্গে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁর থেকে উত্তর তিনি পাননি।
সেই কারণেই একরাশ তিক্ততা নিয়ে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। এবার সায়ন্তিকার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনলেন প্রযোজক মণিরুল। সায়ন্তিকার অপেশাদার মনোভাবের দিকে আঙুল তুলে পাল্টা ওই প্রযোজক বলেন, “সায়ন্তিকার সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। হাত ধরা নিয়ে সায়ন্তিকার সমস্যা মাইকেল বাবুর সঙ্গে। তিনি পরিচালককে ফোন করে মাইকেল বাবুকে মারতেও চান। এখন প্রযোজক হিসেবে আমার বিরুদ্ধে সায়ন্তিকা কেন অভিযোগ করছেন?সেটাও আমার বোধগম্য নয়।”
শুটিংয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, “কীভাবে শুটিং হবে, এটা ঠিক করেন পরিচালক। আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল গানের দৃশ্য দিয়ে শুরু হবে শুটিং। অপেশাদারি আচরণ সায়ন্তিকা করেছেন। চুক্তির বাইরে আমরা তাঁকে অনেক টাকা দিয়েছি পোশাকের জন্য। কিন্তু তিনি কোনো পোশাক নিয়ে কেনেননি। আমি আবারও পোশাকের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সে পোশাকগুলোও সায়ন্তিকা নিয়ে গেছেন।”
এখানেই শেষ নয় হোটেলের ঘরে ওই ছবির অভিনেতা জায়েদ খানের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোরও অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক। তিনি যোগ করেন, “মাইকেলের ডিরেকশনে গানের শুটিং করার সময় ড্রেস পরিবর্তন করার জন্য বেলা ২টোর সময় নায়ক জায়েদ খানকে হোটেলের ঘরে নিয়ে যান -নায়িকা। ফিরে আসেন সন্ধ্যা ৬টায়।” তাঁর প্রশ্ন, “ড্রেস চেঞ্জ করতে চার ঘণ্টা সময় লাগে? এমনটা কখনও দেখিনি। ওই দিন তাঁরা সেখানে কী করছিলেন? কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে এতোটা সময় তারা এক সঙ্গে এক রুমে হোটেলে কাটালেন?” এরই পাশাপাশি মুখ খুলেছেন নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুও।
তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে নায়িকার ভালো সম্পর্ক ছিল। এসেই আমাকে দাদাভাই বলেও সম্বোধন করছিল। প্রথম একটা গান ভালোভাবেই শেষ করেছি। কিন্তু দ্বিতীয় গানের ক্ষেত্রে আমি দুপুর ২ টা ১৫ মিনিটে পোশাক পরিবর্তন ও লাঞ্চ ব্রেক হিসেবে এক ঘণ্টা সময় দিলেও জায়েদ খান ও সায়ন্তিকা শুটিং স্পটে উপস্থিত হন সন্ধ্যার পরে, যখন সূর্য ডুবে গেছে। ডে লাইট ছাড়াই ওই শুট হবে না। তাই পরের দিন শুটিং করি।” যদিও সায়ন্তিকা এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি।”