বলিউড অভিনেত্রী জারিন খানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল শিয়ালদা কোর্ট। ২০১৮ সালে দায়ের প্রতরণার মামলায় অভিযুক্ত জারিনের নামে দিন তিনকে আগেই অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছেন কোর্ট। কালীপুজোর ৬টি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল জারিনের, সেই মর্মে আয়োজকদের থেকে ১২ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকেন সলমন খানের ‘বীর’ কো-স্টার। পাঁচ বছর পুরোনো সেই মামলাতেই এবার ঘোর বিপারে জারিন।
প্রতারিত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার তরফে নারকেলডাঙা থানায় এফআইআর রুজু করা হয়েছিল, তদন্তকারী অফিসার ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছেন আদালতে। কিন্তু আদালত বারবার তলব করা সত্ত্বেও কোনওরকম সদুত্তোর দেননি জারিন, আবেদন করেননি আগাম জামিনেরও। ফলস্বরূপ এদিন আদালত অভিনেত্রীর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল। এই ব্যাপারে এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জারিন জানান, তিনি এই গোটা ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহালই নন। আকাশ থেকে পড়ার ভঙ্গিতে নায়িকা জানান, ‘আমি নিশ্চিত এটা সত্যি নয়। আমি নিজেও হতবাক, আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। তারপরেই আমি নিজে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হব’।
পুলিশ সূত্রে খবর, সিআরপিসি-৪১ ধারা অনুসারে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল জারিন খানকে। কলকাতায় অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। খবর, অভিনেত্রীর দাবি, তাঁকে ভুল তথ্য দিয়েছিল আয়োজক সংস্থা। বিমানের টিকিট, থাকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাঁকে ভুল পথে চালিত করা হয়। এমনকী সেই অনুষ্ঠানে বাংলার হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরা হাজির থাকবেন, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরে জারিনের টিম খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছোট পরিসরে আয়োজিত কালী পুজোর অনুষ্ঠান সেগুলি। তাই শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেন নায়িকা।
ওদিকে আয়োজকদের পালটা দাবি, টাকা আত্মসাৎ করেও হাজির হননি ‘অপেশাদার’ জারিন। এর জেরে হয়রানির স্বীকার হন তাঁরা। জারিন ব্যক্তিগতভাবে সম্মতি দেওয়ার পাশাপাশি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েও ওই ৬টি অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার কথা জানান জারিন। তাঁদের আরও দাবি, জারিনের থেকে টাকা ফেরত চাইলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার পুজোয় যোগ দিতে যেতে ইচ্ছে করছে না। আমি কেন যাব?’ টাকা ফেরত চাইলে তিনি পালটা হুমকি দেন।
জারিনের পাশাপাশি এই মামলায় দ্বিতীয় অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে জারিনের প্রাক্তন ম্যানেজারের। তিনি ইতিমধ্যেই এই মামলায় কোর্টে হাজিরা দিয়ে অন্তর্বতীকালীন জামিন নিয়েছেন। গোটা বিষয় নিয় ইতিমধ্যেই নাকি মুম্বই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কলকাতা পুলিশ। আদালতের নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।