মাহসা আমিনির মৃত্য়ুবার্ষিকীতে বিক্ষোভ ইরানে। দেশজুড়ে চলছে হিজাব বিরোধী আন্দোলন। এহেন পরিস্থিতিতে তেহরানের উপর চাপ বাড়িয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডা।
ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “নীতি পুলিশের হেফাজতে মাহসার মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। এই ঘটনা ইরানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ,গণ গ্রেপ্তারের জন্ম দিয়েছে। ইরানে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোও চলতি সপ্তাহে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।” আমেরিকার সঙ্গে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নও বিভিন্ন স্তরে তেহরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২২-এর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় ২২বছরের কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির। জানা যায়, হিজাব না পরায় তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীনই নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় মাহসার। তার পর থেকেই হিজাব বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। শুরু হয় তুমুল সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেইর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় হাজার হাজার মানুষ। তার পর থেকেই হিজাব বিদ্রোহ দমনে চরম নিপীড়ন শুরু করে ইরান। হিজাব নীতি লঙ্ঘনে শাস্তির তালিকা বেড়েই চলেছে সে দেশে। কয়েক দিন আগেই খবর মিলেছিল হিজাব না পরায় চাকরি খোয়াতে হয়েছে মহিলারাদের। কেড়ে নেওয়া হয়েছে গাড়িও। শুধু তাই নয় প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করতে বহু মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে।