সৌন্দর্য ও গ্ল্যামারের সঙ্গে অভিনয় প্রতিভা, ধৈর্য, পরিশ্রম আজ সারিকাকে পরিচিত করেছে দর্শকের কাছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে সফল অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন নিজেকে। কিন্তু সারিকার কয়েক বছর ধরে থাইরয়েডের সমস্যা থাকায় অনেকটাই মুটিয়ে গিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই ওজন কমানোর জন্য নানা কিছু করেছেন।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুন– এই পাঁচ মাসে ১৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন ছোট পর্দার এ তারকা। ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ওজন ছিল ৬৬ কেজি, যা এখন দাঁড়িয়েছে ৪৮ কেজিতে!
তাঁর ওজন কমানোর পাঁচ মাসের জার্নিটা একেবারেই কঠিন কিছু ছিল না। বরং আগে ওজন কমানোর জন্য যে শ্রম দিয়েছেন, এর চেয়ে অনেকটা কম কষ্টই করতে হয় তাঁকে। এ ক্ষেত্রে তিনি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনেছেন। শুরুর দিকে তিনি ২৫ মিনিট সময় নিয়ে ব্যায়াম করতেন। এরপর সময় বাড়িয়ে ৪০ মিনিটে আনেন।
সারিকা বললেন, ‘সত্যি বলতে কি, প্রতিদিনই ওজন বাড়ছিল। একটা সময় নিজের কাছেই ভালো লাগল না। তাই চিন্তা করলাম, আমাকে ওজন কমাতে হবে। ফলে শুরুতেই আমি খাবারের তালিকা থেকে সব ধরনের বাইরের খাবার ও জাঙ্ক ফুড বাদ দিই। এরপর নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ ও শরীরচর্চা শুরু করি।’
সারিকা সাবাহর মতে, ওজন কমানোর এই পাঁচ মাসের জার্নিটা একেবারেই কঠিন কিছু ছিল না। বরং আগে ওজন কমানোর জন্য যে শ্রম দিয়েছেন, তার চেয়ে অনেকটা কম কষ্টই করতে হয় তাঁকে। এ ক্ষেত্রে তিনি সাধারণ কিছু নিয়ম মেনেছেন। এই যেমন বেলা তিনটার মধ্যে দুপুরের খাবার খেতেন। রাতের খাবার শেষ করতেন নয়টার মধ্যে। খাবারের তালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ ছিল বেশি। আর প্রতিদিন পান করতেন তিন লিটার পানি। সব খাবার রান্না করতেন অল্প পরিমাণে অলিভ অয়েলে।
নিজস্ব ডায়েট পদ্ধতি জানিয়ে সারিকা সাবাহ জানালেন ‘কখনো কখনো সকাল ১০টাও বেজে যায় আমার ঘুম থেকে উঠতে। উঠেই এক কাপ ব্ল্যাক কফি খাই। যেহেতু চিনি খাই না, তাই আধা চা–চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে নেই কফির সঙ্গে। এরপর দুই ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করি। এই যেমন কখনো ইয়োগা করি, কখনো ঘরের ভেতরেই টানা হাঁটি। আবার জগিং, অ্যারোবিক্সও করে থাকি।’