বলিউডে তাঁর ছিল না কোনও গডফাদার। গুড লুকস আর অভিনয় প্রতিভার জোরেই ‘স্টার’ তকমা পেয়েছিলেন সাইনি আহুজা।
হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে উল্কা গতিতে উত্থানের পর আচমকাই ধসে যায় গ্যাংস্টার, লাইফ ইন এ মেট্রো, ভুলভুলাইয়া-র মতো হিট ছবির নায়কের কেরিয়ার।
২০০৯ সালে বাড়ির ১৯ বছরের কাজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বলিউডের অন্যতম প্রতিশ্রুতিবান অভিনেতার বিরুদ্ধে। আর মাত্র ৩ বছরেই শেষ হয়ে যায় সাইনির চকচকে কেরিয়ার।
২০১১ সালে পরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন সাইনি আহুজা, সাত বছরের হাজতবাস হয়েছিল তাঁর। আপতত জামিনে মুক্ত অভিনেতা, তাঁকে নিয়ে কিছুদিন আগেই বড় রায় দেয় বম্বে হাই কোর্ট।
সাইনির পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছরের জন্য বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১১ সালে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই শর্তসাপেক্ষে জামিন পান অভিনেতা। কিন্তু তারপর থেকেই একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে তাঁকে, যার অন্যতম সাইনির পাসপোর্টের মেয়াদ মাত্র এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। (ছবি– সোশ্যাল মিডিয়া)বছর বছর পাসপোর্ট রিনিউ করার ঝক্কি কম নয়, সেই ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পেতে বম্বে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন অভিনেতা, গত ১২ বছর ধরে আদালতের তরফে চাপানো জামিনের শর্ত মেনে চলায় সাইনির আবেদন মঞ্জুর করেছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি অমিত বোরকারের এজলাসে হয় মামলার শুনানি। আদালত পাসপোর্ট অফিসকে নির্দেশ দেয় ১০ বছরের জন্য সাইনির পাসপোর্ট রি-নিউ করতে।
পরিচারিকার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের ১৪ জুন গ্রেফতার হয়েছিলেন সাইনি আহুজা। অভিনেতার পরিচারিকার অভিযোগ ছিল, স্ত্রী-র বাপের বাড়ি যাওয়ার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা ফ্ল্যাটে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন অভিনেতা, পরে 'চাপের মুখে' বয়ান বদলালেও ২০১১ সালে নিম্ন আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারা অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করে সাইনিকে।
পরিচারিকা সেই সময় আদালতে বলেছিলেন যৌন সহবাসে তাঁরও সম্মতি ছিল। পরবর্তীতে বম্বে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন সাইনি, ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। প্রয়োজনে বিদেশে যাওয়ার অনুমতিও রয়েছে সাইনির, তবে মেনে চলতে হয় কঠিন শর্ত।
জামিন মিললেও বলিউড আর ফিরিয়ে নেয়নি সাইনিকে। ২০১৫ সালে ‘ওয়েলকাম ব্যাক’ ছবিতে ছোট্ট ভূমিকায় দেখা মিলেছিল তাঁর, তারপর থেকে পুরোপুরি ‘গায়েব’ তিনি।
জানা যায়, রিচা চাড্ডা-অক্ষয় কুমার অভিনীত লিগ্যাল ড্রামা ‘সেকশন ৩৭৫’-এর অনুপ্রেরণা সাইনি আহুজা। এই ছবির কাহিনিকার মণীশ গুপ্তা, সাইনির ঘনিষ্ঠ বন্ধু।