যতদিন যাচ্ছে বাড়ছে নানা শারীরিক সমস্য়া। এই নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতার যথেষ্ট অবাব রয়েছে। কারণ তা সত্ত্বেও মানুষ জীবনযাত্রায় লাগাম টানেন নায যার সরাসরি প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। খেয়াল করে দেখবেন যত আপনার বয়স বাড়ছে, ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে হজম, গ্যাস-অম্বল সম্পর্কিত হাজার সমস্যা।
এই সমস্যা থেকে সাময়িক আরাম পেতে নানা অ্যান্টাসিড ও হজমের ওষুধ খেয়ে ফেলেন বেশিরভাগ মানুষ। এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এই ধরনের ওষুধের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হতে পারে ভয়ঙ্কর। তাই ভরসা করতে হবে ঘরোয়া ভেষজ উপায়ে। যার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং যা খেলে এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য় করতে পারে কিছু ভেষজ। এই ভেষজগুলো পরিপাকতন্ত্রকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস অম্বলের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন-কোন ঊেষজ রয়েছে এই তালিকায় এবং এদের উপকারিতা…
ক্যামোমাইল চা: হজমশক্তি উন্নত করতে ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন। এটি শুধুমাত্র ঘুমের মানই উন্নত করে না। এর আরও অনেক গুণ রয়েছে। ক্যামোমাইল চায়ে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই ভেষজটি খেলে অ্যাসিডিটি এবং পেটে ক্র্যাম্পের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও বমি বমি ভাবের সমস্যাও দূর হয়।
মৌরি বীজ: মৌরির বীজে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান। মৌরিকে আপনি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। এই বীজ গ্যাস-অম্বল,পেচে ফোলাভাব এবং পেটের ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি দেয়। শুধু তাই-ই নয়, এই বীজ বদহজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
আদা: আদাও হজমের জন্যও ভালো। আদা বমি-বমি ভাব, পেট ফোলাভাব, বদহজম এবং হজম সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। আদার গুঁড়োও চায়ে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়া আদার গুঁড়ো হালকা গরম জলের সঙ্গেও খেতে পারেন।
পুদিনা: এছাড়া এই সমস্য়া থেকে মুক্তি পেতে খেতে পারেন পুদিন। কারণ এতে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। চায়ের সঙ্গেও পুদিনা মিশিতে খেতে পারেন এতে বদহজমের সমস্যা মেটে। সেই সঙ্গেই সুস্থ থাকে হার্টও। এছাড়া মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে পুদিনার চা।