সুরা কাওসার কোরআনের ১০৮তম সুরা। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা ৩টি, রুকু ১টি। এটি কোরআনের সংক্ষিপ্ততম সুরা। সুরাটিতে আল্লাহ নবিজির (সা.) ওপর তার অনুগ্রহের কথা বলেছেন। কাওসার জান্নাতের একটি ঝর্ণার নাম। রাসুল (সা.) বলেছেন, কাওসার জান্নাতের একটি ঝর্ণা। এর দুই তীর হল স্বর্ণের, মতি ও ইয়াকুতের ওপর দিয়ে তা প্রবাহিত হয়। এর মাটি কস্তুরির চেয়ে বেশি সুগন্ধময় আর পানি তুষারের চেয়ে সাদা ও মধুর চেয়ে মিষ্টি। (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৬১)
যে ব্যক্তির পুত্রসন্তান নেই, আরবে তাকে নির্বংশ বলা হতো। রসুলের (সা.) ছেলে কাসেমের মৃত্যু হলে মক্কার মুশরিকরা তাকে নির্বংশ বলে উপহাস করতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ সুরা অবতীর্ণ হয়।
সুরা কাওসার
(১) নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। (২) সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কুরবানি করো। (৩) নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ।
৪টি শিক্ষা ও নির্দেশনা
১. আল্লাহ নবিজিকে প্রচুর নেয়ামত দান করেছেন ও সম্মানিত করেছেন। দুনিয়ার মানুষের উপহাস তার সম্মানহানি করতে পারে না।
২. নামাজ ও কুরবানি ইসলামের দুটি আবশ্যকীয় ও গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার জন্য আমাদের কর্তব্য তার ইবাদতে নিমগ্ন হওয়া; নামাজ পড়া, কুরবানি করা।
৩. সাধারণ ক্ষেত্রে বদদোয়া করা বা অভিশাপ দেওয়া ভালো নয়। কিন্তু কেউ জুলুমের শিকার হলে জালিমের বিরুদ্ধে বদদোয়া করতে পারে।
৪. সন্তান আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ছেলে দেন, যাকে ইচ্ছা মেয়ে দেন। ছেলে বা মেয়ে কারো মর্যাদা বা সফলতার মাপকাঠি নয়। ছেলে না থাকলে কেউ নির্বংশ হয় না। মানুষ নির্বংশ ও নাম-চিহ্নহীন হয় তার মন্দ কাজের কারণে।