রাসুল (সা.) বলেছেন,
مَنْ حَلَفَ فَقَالَ في حَلِفِهِ : بِاللاَّتِ وَالعُزَّى فَلْيَقُلْ : لاَ إلَهَ إلاَّ اللهُ وَمَنْ قَالَ لِصَاحِبهِ: تَعَالَ أُقَامِرْكَ فَلْيَتَصَدَّقْ
যে ব্যক্তি শপথ করার সময় বলে, ‘লাত ও উজ্জার শপথ’, সে যেন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে। যে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে বলে, ‘এসো জুয়া খেলি’, সে যেন সদকা করে। (সহিহ বুখারি: ৪৮৬০, সহিহ মুসলিম: ৪৩৪৯)
এ হাদিস থেকে যে শিক্ষাগুলো আমরা পাই
১. আল্লাহ ছাড়া কারো নামে শপথ করা হারাম ও ছোট শিরক যা বড় গুনাহসমূহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহর ছাড়া যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু যেমন ফেরেশতা, নবিজি (সা.), কাবা, আমানত, নামাজ, বাবা-মা বা কোনো দরবেশের নামে শপথ করা হারাম। রাসুল (সা.) বলেন, আল্লাহ তোমাদেরকে বাবা-মায়ের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। যে শপথ করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
২. জুয়া হারাম। আল্লাহ কোরআনে জুয়াকে মদ ও মূর্তিপুজার মতো গর্হিত পাপের সাথে উল্লেখ করে বলেন,
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡهُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ
হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ নাপাক ও শয়তানের কাজ। তোমরা তা পরিহার করো যেন সফলকাম হতে পারো। (সুরা মায়েদা: ৯০)
জুয়া হলো এমন যে কোনো খেলা যা লাভ ও লোকশানের মধ্যে ঝুলন্ত থাকে। দুই পক্ষের সম্মতিতে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ বা বস্তু নির্ধারণ করে কোনো একটি বিষয়ে হার জিত নির্ধারণ করা হয়। যে পক্ষ হেরে যায় সে অপর পক্ষকে সেই নির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করতে বাধ্য থাকে।
৩. নবিজি (সা.) নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো মুসলমান যদি আল্লাহ ছাড়া কারো নামে শপথ করা বা জুয়া খেলার মতো হারাম কাজ করে অথবা এগুলো করার ইচ্ছা করে, সে যেন তার কাজ বা ইচ্ছার জন্য কাফফারা দেয়। যে আল্লাহ ছাড়া কারো নামে শপথ করে, সে যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে ও কালিমা পড়ে। যে জুয়া খেলার জন্য বন্ধুকে ডাকলো, সে গুনাহের কাজ শুরু করে দিয়েছে, তার ওপর ওয়াজিব হলো ওই গুনাহের ছেড়ে দিয়ে তওবা করা এবং যতটুকু সম্ভব হয় সদকা করা।