মশার কামড়ে ত্বকে শুধুমাত্র ফুসকুড়িই হয় না, চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগও ছড়ায়। মশার মাধ্যমে ছড়ানো এসব রোগে প্রচুর লোক প্রাণ হারায়। তাই প্রতি বছর ২০শে আগস্ট বিশ্ব মশা দিবস পালন করা হয়।
মশা প্রতিরোধে সচেতনতা আনতে এই দিবসটি পালিত হয়। যাতে গুরুতর ক্ষেত্রে লোকের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। মশা থেকে বাঁচতে বাজারে অনেক ধরনের লোশন, কয়েল, স্প্রে ইত্যাদি পাওয়া গেলেও এই রাসায়নিক দ্রব্য আপনার অনেক সময় ক্ষতিও করতে পারে। সেজন্য মশা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কিছু তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব তেলে কিছু জিনিস মিশিয়ে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার তৈরি করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেই সেই তেলগুলি সম্পর্কে-
নারকেল তেল এবং লেবু: নারকেল তেল যে কোনও ত্বকের জন্য ভালো তা সকলেই জানেন। মশার হাত থেকেও রক্ষা করতে পারেন। এর জন্য নারকেল তেলে লেবু ভালো করে মিশিয়ে একটি শিশিতে ভরে নিন। এই তেলটি ত্বকে লাগিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। সেই সঙ্গে নখের কাছে এবং পায়ের নখতেও এই তেল লাগান। এটি শুধু ত্বককে সুস্থ রাখবে না মশা থেকেও রক্ষা করবে এবং ছত্রাক সংক্রমণের ভয় থাকবে না।
নিম তেল: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ নিমের তেল ত্বকে লাগান। ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবে এবং মশাও কামড়াবে না।
পেপারমিন্ট নির্যাস বা তেল: পুদিনা তার সতেজ সুগন্ধে মনকে খুশি করে। পুদিনার নির্যাস বা তেলে নারকেল তেল মিশিয়ে লাগান। এটির মাধ্যমে ত্বকও হয়ে উঠবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।
সর্ষের তেল ও জোয়ান : এক চা চামচ সর্ষের তেল এবং এক-চতুর্থাংশ টেবিল চামচ জোয়ান নিন। একটি পাত্রে এই দুটি জিনিস নিয়ে ফুটতে দিন। প্রায় ৫ মিনিট পর এই তেল ঠাণ্ডা হতে রাখুন। এই তেল দিয়ে মশা থেকে বাঁচতে পারবেন।
ল্যাভেন্ডার তেল: ল্যাভেন্ডার তেলের সুগন্ধ মনকে শান্ত করে এবং এই তেল ত্বকের জন্যও উপকারী। রাতে বাইরে বের হলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল লাগান। মশাও দূরে থাকবে।