বহু শতাব্দী ধরেই বাঁশ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাঁশের পাতা ব্যবহার করে ত্বক ও শ্বাসকষ্ট দূর করা যায়। আসুন তাহলে জেনে নেই এর উপকারিতা-
বাঁশ বা বাঁশঝাড় গ্রামে বেশি দেখা যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে বাঁশও খাওয়া হয়।
বড় দেখতে বাঁশ গাছের ঔষধি গুণাবলী অগণিত।
বাঁশের যে অংশ খাওয়া হয় তা আসলে বাঁশের শক্ত অংশ নয় বরং এর কান্ড। বহু শতাব্দী ধরে বাঁশ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যদি মুখের আলসারে সমস্যায় হয়, তাহলে বাঁশের পেস্ট লাগালে আরাম পাওয়া যায়। এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে মুখের ঘা সেরে যায়।
অনেক সময় পেটের সমস্যা বা বমি বমি ভাব বা বমি হওয়ার কারণে অনেকের ক্ষিদে কম লাগে। যদি তখন তাজা বাঁশের কান্ড খাওয়া হয় তবে এটি ক্ষিদে বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, বাঁশের স্বাদ হালকা মিষ্টি এবং এর গঠন খাস্তা। বাঁশের সেলুলোজের উচ্চ ঘনত্ব রয়েছে যা ক্ষিদে বাড়ায়, উদ্দীপিত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং দ্রুত হজমের উন্নতি করে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বাঁশে উপস্থিত দ্রবণীয় খাদ্যতালিকা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে। এর পাশাপাশি, কার্বোহাইড্রেটের ভাঙ্গন এবং চিনির প্রক্রিয়াকে ধীর করে ডায়াবেটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বাঁশ।
বাঁশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এবং এরসঙ্গে এতে উপস্থিত অনেক ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের ভাণ্ডার হওয়ায় বাঁশের অঙ্কুরগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।