৩৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ডালাসের ফোবানা সম্মেলন


ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক , আপডেট করা হয়েছে : 05-09-2023

৩৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ডালাসের ফোবানা সম্মেলন

যুক্তরাষ্ট্রে ফোবানা সম্মেলনের ইতিহাসে গত ৩৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের ৩৭তম ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন। বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট) তিন দিন ব্যাপী ৩৭তম ঐতিহাসিক  ফোবানা সম্মেলন সফল করে ডালাসে সমবেত  ৪/৫ হাজার প্রবাসীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। 

গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া উত্তর আমেরিকার প্রবাসীদের বাঙালিদের মিলনমেলাখ্যাত ফেডারেশন অব বাংলাদেশি অ্যাসোশিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা (ফোবানা) সম্মেলন শেষ হয়েছে গত রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর)। ডালাসে শহরের প্রাণকেন্দ্রের ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার। এরপর  সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষনা করেন বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট) এর সভাপতি ও ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন। পিপলস এন টেকের সিইও আবু বকর হানিফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে যোগ দিতে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে এবং বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে থেকে হাজার হাজার দর্শক বিকেলের মধ্যেই হাজির হন সম্মেলন স্থলে। ডালাস ফোবানার আয়োজকরা জানান, উত্তর আমেরিকার প্রায় ৬৪টি সংগঠন এবারের সম্মেলনে অংশ নিতে ডালাসে উপস্থিত হন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ইরভিং কনভেনশন সেন্টারে ওয়েস্টিন হোটেলের বল রুমে 'ব্লাক টাই ডিনারে' অংশ নেন অতিথিবৃন্দরা। এ অনুষ্ঠানে স্বাগতিক সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট) এর পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক হাসমত মবিন, ফোবানার নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. আহসান চৌধুরী হিরো, নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনের আহবায়ক সদস্য সচিব শাম সুদ্দোহা সাগর ও ফোবানার সাবেক কর্মকর্তাবৃন্দ।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বান্টের শিল্পীরা বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার (তিন দেশের) জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজার হাজার সংস্কৃতিপ্রেমীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইরভিং সিটির মেয়র রিক স্টোফার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সকল ধর্মবর্ণের মানুষ বাস করেন। এ দেশে রয়েছে বহুসংস্কৃতি। এই ডালাস শহর বিনির্মাণে বাংলাদেশিদের রয়েছে যথেষ্ট ভূমিকা। এরই মধ্যে এই শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ফোবানা সম্মেলন। ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত ৩৭ তম ফোবানা সম্মেলনের এ অনুষ্ঠানটি শহরবাসী চিরদিন মনে রাখবেন বলে আশা করেন তিনি। তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য একটি সেতু বন্ধনও তৈরি হবে।

ডালাসের ইরভিং কনভেশন সেন্টারে সন্ধায় বাংলাদেশ, আমেরিকান ও কানাডার জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ৩৭ তম ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানের শুভ সুচনা হয়। দিবা সাহা, সাদমান ফারিব, ফারহানাজ রেজা,শারমিনা সোনিয়া, আর জে রাহী ও আবীর আলমগিরের যৌথ উপস্থাপনায় ফোবানার উদ্ভোধনী অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্যে রাখেন আবু হানিফ। তিনি বলেন ফোবানা একটি সুশৃঙ্খল সংগঠন, প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্যে দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি ড. বেনু রায়। তিনি বলেন যুক্তরাষ্ট্রের মত একটি উন্নত দেশে বসে এ কনভেশনে আমরা সবাই বাংলায় কথা বলছি, ফোবানার মাধ্যমে শিক্ষার্থিরা অনেকেই উপকৃত হচ্ছেন, যা অনুকরণীয়। ৩৭ বছরের ধারাবাহিতায় ফোবানা আজ সমৃদ্ধ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাউন্ডার সবুর খান। তিনি বলেন, ফোবানা চাইলে ডেফোডিল এর সাথে এন্টারপ্রোনার তৈরীতে ভুমিকা রাখতে পারবে। ফোবানা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্কলারশীপ চালু করতে পারে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরচিালক আন্ত:র্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউশনের হাকিম আরিফ বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে ফোবানা পেট্রন করছে, যা আনন্দের ও গৌরবের।

উদ্দ্বোধনী অনুষ্টানে আরও বক্তব্যে রাখেন, ফোবানার চেয়ারম্যান ড. এহসান চৌধুরী হিরো, ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ রব চৌধুরী, ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল, হোস্ট কমিটির পক্ষে ৩৭তম ফোবানার কনভেনর হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগর।

৩৭তম ফোবানার আহবায়ক ও বাংলাদেশ অ্যাসোশিয়েশন অব নর্থ টেক্সাস (বান্ট)এর সভাপতি হাসমত মোবিন জানান, নিজের সফলতার কথা নিজে বলাটা ঠিক নয়। ডালাসে আগত বাংলাদেশিরাই বলে দেবে ৩৭তম ফোবানা সম্মেলন কেমন হয়েছে। আমি আর কিছুই বলতে চাই না। তবে এতটুকুই বলবো আমি এবং আমার সাথে যারা কাজ করেছেন আমরা সবাই খুব খুশি যে ডালাসে এত মানুষের সমাগম করতে পেরেছি। আমাদের যে লক্ষ্য ছিলো তা সার্বিক ভাবেই সফল হয়েছি। গত তিনদিনে সবাই অনেক আনন্দ বিনোদনে মেতে উঠেছিল। সবাই প্রবাসের কথা ভুলে গিতে গত তিনদিন শুধু বাংলাদেশেরই কথা ভেবেছে। তারা সবাই হারিয়ে গিয়েছিলেন নিজেদের অজান্তে। তিনি আয়োজক কমিটির সকল নেতাকর্মীসহ সকল শিল্পী-কলা কুশলী এবং উপস্থিত দর্শকশ্রোতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ফোবানার নির্বাহী সচিব নাহিদুল খান সাহেল বলেন, ২০২৩ সালে ডালাসের বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ নর্থ টেস্কাস (বান্ট) আয়োজিত ৩৭তম ফোবানা সম্মেলনটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ফোবানা সম্মেলন জনসমাগম ও সফলতার ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্হাপন করেছে বলে তিনি মনে করেন। ধারণা মতে সম্মেলনের তিনদিনে বার হাজারের (১২০০০) এর অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছে। সামান্য ভুল ত্রুটি ছাড়া সাংগঠনিক ভাবে আয়োজক কমিটি অত্যন্ত যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। ফোবানার কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তিনি আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

২০২৫ সালে ফোবানা আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছেন আটলান্টার বাংলাধারা সংগঠন। নাহিদুল খান সাহেলকে আহবায়ক ও মাহবুবর রহমান ভূঁইয়াকে সদস্য সচিব মনোনীত করা হয়েছে বাংলাধারা সংগঠনের পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ডালাসে ফোবানা সম্মেলনে যোগ দিয়ে ফোবানা নির্বাহী কমিটির নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান এটর্নি মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি ডালাসের ফোবানা সম্মেলনের মত দর্শকশ্রোতা এর আগে কোথাও দেখিনি। এত মানুষ কোথা থেকে এসেছে? তা আমি ভেবেও কূল পাচ্ছিলাম না। যুক্তরাষ্ট্রের ৬২টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একমঞ্চে এনে তাদের পরিবেশনার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এতটা সহজ কাজ নয়। এটা সম্ভব হয়েছে স্বাগতিক সংগঠনের আহাবায়ক হাসমত মোবিন ও মেম্বার সেক্রেটারি শাম সুদ্দোহা সাগরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও মুদ্ধিমত্তায়।    

ফোবানা নির্বাহী কমিটির নব নির্বাচিত নির্বাহী সচিব আবীর আলমগীর বলেন, ডালাসে অনুষ্ঠিত এবারের সম্মেলনটি ছিলো গত কয়েক বছরের মধ্যে সেরা সম্মেলন। তিন দিনের সম্মেলনে প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশিদের উপস্থিতি মুগ্ধ করেছে সকলকে। আমেরিকা ও কানাডার ১৮ স্টেটের ২২ টি শহর থেকে মোট ৬২টি সংগঠনের কয়েক হাজার সংগঠক অংশগ্রহন করেছিলেন সম্মেলনে। অতীতের সম্মেলন গুলোতে দেখা গেছে সাধারনত মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান গুলোতেই দর্শকদের উপস্থিতি এবং আকর্ষনটা বেশি থাকে, কিন্তু এবারের সম্মেলনে মুল মঞ্চের অনুষ্ঠান ছাড়াও কনভেনশন হলের ৪টি ফ্লোরেই নানান অনুষ্ঠান গুলিতে সারাদিন ধরেই উপচে পরা দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।সম্মেলনে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহন ছিলো উল্লেখযোগ্য। ইয়ুথ ফোরাম, কাব্য জলসা, বিজনেস নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট সহ বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক সেমিনার গুলোতে ছিলো হলভর্তি দর্শক।

এবারের সম্মেলনে যে ক’জন শিল্পীদের আসার কথা ছিলো তারা প্রত্যেকেই অংশগ্রহন করেছেন এবং উত্তর আমেরিকার প্রায় ৩৪টি সংগঠন পরিবেশন করেছে তাদের চমৎকার দলীয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যা ছিলো অন্যতম সর্বাধিক অংশগ্রহন। এবারের সম্মেলনে ৫৫টি সংগঠনের ভোটাধিকার ছিলো, সংগঠন গুলোর প্রতিনিধিরা ভোটের মাধ্যমে পরবর্তি এক বছরের জন্য নতুন এক্সিকিউটিভ কমিটি নির্বাচিত করেছেন। প্রায় ১৬ স্টেটের সংগঠকদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে এবারের কমিটিতে। নতুন এই টিম নিয়ে আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আমার বিশ্বাস একটি চমৎকার টিম ওয়ার্কের মধ্যে পরবর্তি একটি বছর ফোবানাকে সুন্দর ভাবে আরো গতিশীল করতে পারবো আমরা।

স্বাগতিক সংগঠনের মিডিয়া এবং যোগাযোগের দায়িত্ব প্রাপ্ত রেজা রহমান বলেন, ডালাসের ফোবানা সম্মেলন কেমন হয়েছে এটা আমার মতামতের প্রয়োজন নেই, সম্মেলনে অংশ নেওয়া আরো ১০ জন প্রবাসীরাই বলবেন কেমন হয়েছে। অসম্ভব সুন্দর এবং সার্থক সম্মেলন হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।প্রায় ৩ হাজার লোকের উপস্থিতিতে শনিবার ও রবিবার সবাইকে রাত ২ টা পর্যন্ত ধরে রাখা কম কথা নয়।

স্বাগতিক সংগঠন বান্ট-এর সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ৩৭তম ফোবানার কালচারাল চেয়ারম্যান শেইখ লিমন বলেন, ফোবানার ইতিহাসে এরকম সফল ফোবানা আর হয়নি আর ভবিষ্যতে হবে বলে মনে হয় না। তিন দিনে প্রায় দশ হাজারের অধিক সংখক বাঙালিদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ডালাসের ইরভিং কনভেনশন সেন্টার। ডালাস ফোবানা নিয়ে গেলো এক অন্য উচ্চতায়। ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ডালাসের ফোবানার কথা।

সৈয়দ হোসেন জানান, এবারের ডালাস ফোবানাকে সর্বাত্মকভাবেই সফল বলতে হবে। কারন গত কয়েক বছরে এমন ফোবানা কেউ উপহার দিতে পারেনি। আমার দৃষ্টিতে এবারের ফোবানা একটি সফল ফোবানা সম্মেলন।

নিউ ইয়র্কের ব্যবসায়ী ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আসলেই একটি সফল ফোবানা সম্মেলন হয়েছে ডালাসে। সুন্দর ও গোছানো অনুষ্ঠানে এত মানুষের সমাগম এর আগে কোথাও দেখা যায়নি।

সুবর্না ডিউক জানান, আমরা শুধু ভালো ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলাম, কারণ আমরা বাংলাদেশ থেকে অভিবাসিত হয়েছিলাম। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের আমাদের সম্পর্কে পড়ার জন্য, কীভাবে আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং কীভাবে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শক্তিশালী সম্প্রদায় তৈরি করেছি, তা নতুন প্রজন্ম জানতে পেরেছে এ সম্মেলনের মাধ্যমে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিলনায়তনে গত ৩৬ বছরের ফোবানার ইতিহাস সম্বলিত একটি ভিন্নধর্মী ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর বান্টের শিল্পীরা পরিবেশন করেন কোরাস গান, ড্যান্স ড্রামা ও ওয়াশিংটন ডিসি'র কালচারাল গ্রুপ পরিবেশন করেন তাদের পরিবেশনা।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী শাফিন আহমেদ, শিল্পী কনক চাঁপা, আজরিন, লিপি হোসেন, স্বপ্নিল সজীব। স্থানীয় শিল্পীদের মধ্যে গান পরিবেশন করেন ফরিদা খান, নাবিলা রিফাত, লাজ, দিনা সামাদ ও ইশান গিবরান।  

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সম্মেলনে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি ছিল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা, বিষয়ভিত্তিক সভা-সেমিনার, ব্যবসা-বানিজ্য বিষয়ক আলোচনা, বই মেলা, প্রবাসী কবি সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, ব্যান্ড শো, গীতি নাট্য, ফ্যাশন শো, ইয়ুথ ফোরাম ও শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান।

এছাড়াও ছিলো উত্তর আমেরিকার কবি সাহিত্যিকদের আকর্ষণীয় কাব্য জলসা, নারীদের ক্ষমতায়ন সংক্রান্ত বিশেষ সেমিনার এবং দেশে ব্যবসার উন্নয়ন ও আমদানি রপ্তানির উপর সেমিনারসহ প্রায় ২০টির মত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় শনি ও রবিবারের অনুষ্ঠানে।

শনি ও রবিবার মূলমঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করেন মিতালী মুখার্জী, ইমরান, কনা, রিজিয়া পারভীন, শাহনাজ বেলী, মুজা, নির্ঝর, রোমেল আহমদ ও মোমোসহ প্রায় ৫০জন শিল্পী।

এছাড়াও দু’দিনের অনুষ্ঠানে ছিলো নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে চমৎকার পরিবেশনা। উত্তর আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা বাঙালি ব্যাবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে ‘বিজনেস নেটওয়ার্ক লাঞ্চ, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশ থেকে আগত জনপ্রিয় শিল্পী ও স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনা, প্রবাসী বাঙালি সমাজে অবদান রক্ষাকারী বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদানসহ আকর্ষণীয় আয়োজন।

আগামী ২০২৪ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠন হিসেবে গত বছরই দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশ আমেরিকান অ্যাসোশিয়েশন অফ গ্রেটার ওয়াশিংটন ডিসি (বাগডিসি)। এ বছরে আগামী ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলনের স্বাগতিক সংগঠনের নাম ঘোষনা করা হয়। আগামী ২০২৫ সালের ফোবানা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে জর্জিরায় আটলান্টায়। স্বাগতিক সম্মেলন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বাংলা ধারা।  বাগডিসি ও বাংলা ধারার নেতা-কর্মিরা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে অনুষ্ঠতব্য  সম্মেলনের প্রস্তুতি ও তাদের পরিকল্পনার কথা শিগগির প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]