আর চাপ সহ্য করতে পারছি না’‌, স্ত্রীকে মেসেজ লিখে স্বামীর আত্মহত্যা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 03-09-2023

আর চাপ সহ্য করতে পারছি না’‌, স্ত্রীকে মেসেজ লিখে স্বামীর আত্মহত্যা

সল্টলেকের সিটি সেন্টার ওয়ানের নীচ থেকে চন্দন মণ্ডল নামের এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন ওই যুবক। সিটি সেন্টার ওয়ানের চারতলা থেকে তিনি পড়ে যান। আর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুখে সবাই এই কথা বললেও নেপথ্যে অন্য কোনও ঘটনা আছে বলে মনে করছে পুলিশ।

এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মারা যাওয়ার আগে যুবক চন্দন তাঁর স্ত্রীকে মেসেজ করেছিলেন। এমনকী তাঁদের সন্তানকে নিয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাই তিনি সিটি সেন্টারের চার তলা থেকে পড়ে মারা যাওয়ার বিষয়টি মিলছে না। হয় এটি আত্মহত্যার ঘটনা। না হয় নেপথ্যে অন্য কিছু আছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। ওখানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তখনই বোঝা যাবে আসল ঘটনা ঠিক কী।

চন্দনের স্ত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, আজ রবিবার সকালে তাঁকে একটি মেসেজ করে স্বামী লেখেন, ‘‌আর চাপ সহ্য করতে পারছি না।’‌ আবার সন্তানকে নিয়ে সাবধানে থাকার পরামর্শও স্ত্রীকে দেন চন্দন। সুতরাং অসাবধানে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছেন চন্দন এটা মেনে নিতে রাজি নন স্ত্রী। এটি আত্মহত্যার ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একাংশ স্বামীর উপর মানসিক চাপ তৈরি করেছিলেন বলে দাবি মৃতের স্ত্রী। ওই ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্তা বিষ্ণু মুচ্ছলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মৃত যুবকের পরিবার।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ অন্যদিকে চন্দনের স্ত্রী পুলিশকে জানান, অন্য সংস্থা থেকে এসে নতুন এই সংস্থায় যোগ দিলেও তাঁর স্বামীকে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল। নিয়মিত কাজ তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল না। তাই নিয়ে হতাশা হয়ে পড়েছিলেন চন্দন। রবিবার সংস্থার অন্য কর্মীদের সঙ্গে চন্দন যে সিটি সেন্টারে যাবেন সেটা স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন। আর কিছুক্ষণ পরই তিনি খবর পান, সিটি সেন্টারের চার তলা থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তাই মনে হচ্ছে চন্দনকে ধাক্কা মেরে উপর থেকে ফেলে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। পরিবার এবং অফিসের লোকজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]