রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে নির্যাতিত এক গৃহকর্মীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী ও তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পুরো শরীরজুড়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা ও গরম পানি দিয়ে ঝলসানোর ক্ষত রয়েছে। কিশোরীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত কয়েক মাস ধরে নিজের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা দেয় কিশোরী লিজা আক্তার। পুরো শরীরজুড়ে দগদগে ক্ষতচিহ্ন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এজাজ সাকলাইন ও তানজিমা হাশেম দম্পতির বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত সে। সামান্য ভুলত্রুটি হলেও রড দিয়ে মারার পাশাপাশি দেওয়া হতো গরম খুন্তির ছ্যাঁকা। এমনকি ঢেলে দেওয়া হতো ফুটন্ত পানি।
তিন চার দিন আগে রড দিয়ে মরধর করে কোনো খাবারপানি ছাড়াই অসুস্থ লিজাকে আটকে রাখা হয় বাথরুমে। সেখানে তার চিৎকার শুনতে পেয়ে পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ফোন করে জাতীয় তথ্য সেবা ৯৯৯-এ জানায় বিষয়টি। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে লিজাকে। নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে।
সেখানে সাংবাদিকদের ওই কিশোরী বলে, আমাকে মারধর করে বাথরুমে আটকে রেখেছিল। পাশের বাসার এক চাচা আমার চিৎকার শুনে জানালা দিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলে। তখন আমি বলেছি আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে, আর আমাকে বাথরুমে আটকে রেখেছে। তখন তিনি পুলিশে খবর দেয়। এরপর আমাকে এখানে নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় ভাটারা থানা পুলিশ গৃহকর্তা এজাজ সাকলাইন ও তার স্ত্রী তানজীমা হাশেমকে গ্রেফতার করেছে।
আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না দিলেও পুলিশ বলছে রোববার দুপুরে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করবেন তারা।
লিজার মা বাবা দুজনেই আলাদা বসবাস করে, অসহায় লিজা স্থানীয় এক নারীর মাধ্যমে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে ওই বাসায় কাজ শুরু করে।
রাজশাহীর সময় / এম আর