ফের মণিপুরের চূড়াচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুর জেলার মাঝে কোইরেনটাক অঞ্চলে নতুন করে শুরু হয়েছে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের আদিবাসীর গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ।
বুধবার সকালে গোষ্ঠীসংঘর্ষে আগুন জ্বলছে মণিপুরে ।
সূত্রের খবর, কোইরেনটাক এলাকায় কুকিদের গ্রামে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পাল্টা গুলি চালায় গ্রামের নিরাপত্তা বাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত অন্তত ৭ জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে একজনের নাম জাংমিনলুন গাংতে, অন্যজনের পরিচয় জানা যায়নি। নিহতরা কৃষক বলে দাবি করেছে গ্রামের কুকিদের সংগঠন আইটিএলএফ। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, সাত সকালে গ্রামে ঢুকে হামলা চালিয়েছে আততায়ীরা। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। চাষিরা মাঠে কাজ করছিলেন সেই সময়। তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গ্রামরক্ষী বাহিনীও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু গুলির লড়াইয়ে নিরীহ আদিবাসীদের প্রাণ যায়। ঘটনার পর সকাল থেকেই গ্রামে টহল দেওয়া শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একজনকে আটকও করা হয়েছে।
মেইতেই ও কুকি উপজাতিদের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়েছিল মণিপুর। কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতা এলাকার একটি গ্রামে কুকি জঙ্গিদের আক্রমণে তিনজন নিরস্ত্র গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই ৩ জনের মধ্যে দুজনকে গুলি করে খুন করার আগে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের দেহ ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে অশান্তি রাজ্যের দিকে দিকে। জ্বলেছে বহু মানুষের ঘর-বাড়ি। প্রাণ গেছে বহুজনের। নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মহিলারা। লাগাতার অশান্তির পর আজই প্রথম রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিধানসভা অধিবেশন বসছে মণিপুরে। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। লোকসভার অধিবেশন জুড়ে বারবার বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিল। এই পরিস্থিতিতেই বিধানসভা অধিবেশন বসছে। তার আগেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল মণিপুর।