বিয়ে নিয়ে মানুষের অনেক স্বপ্ন থাকে। কারণ বিয়ের পর দুজনের জীবন পুরোপুরি বদলে যায়। দুজনেই একসাথে বাঁচার এবং মরার শপথ নেয় এবং নতুন করে জীবন শুরু করে। কিন্তু কখনও কখনও বিয়ে কিছু মানুষের জন্য বিপর্যয় প্রমাণিত হয়।
এমনই কিছু ঘটেছে এক ধর্মগুরুর সাথে। আফ্রিকার এক ধর্মগুরু খুব ধুমধাম করে বিয়ে করেছিলেন, কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পরে তিনি তার স্ত্রীর সত্যতা জানতে পারেন। ২৭ বছর বয়সী শেখ মোহাম্মদ মুতুম্বা, মসজিদের মৌলভীও ছিলেন। তিনি তাঁর এক আত্মীয়ের পরিচিত একটি মেয়েকে বিয়ে করেন এবং বিয়েতে তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকদের কাছে দুটি ছাগল, দুই বস্তা চিনি, এক বাক্স লবণ এবং একটি কুরআন উপহার দেন। বিয়ের পর শেখ তার স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে এলে তার স্ত্রী তাকে তার কাপড় পর্যন্ত স্পর্শ করতে দেয়নি। এমতাবস্থায় শেখের মনে হয়, তিনি হয়তো লজ্জায় সরে যাচ্ছেন। এই করতে করতে দুই সপ্তাহ কেটে যায়।
বিয়ের দুই সপ্তাহ পর দেখা যায় শেখ মোহাম্মদের স্ত্রী আসলে একজন পুরুষ। এ কথা জানার পর শেখ মোহাম্মদ হতভম্ব হয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এই কথা জানাজানি হওয়ার পর শেখ মোহাম্মদকে মসজিদের দায়িত্ব থেকেও বরখাস্ত করা হয়। শেখ মোহাম্মদ বলেন, তার স্ত্রী যে একজন পুরুষ, ঘুনাক্ষরেও তিনি বুঝতে পারেননি। শেখ মোহাম্মদের মতে, বিয়ের দুই সপ্তাহ পরেও স্ত্রী তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। তিনি ভেবেছিল নতুন বিয়ে হওয়ায় হয়তো লজ্জা পাচ্ছেন। কিন্তু সত্য ছিল কিছু ভিন্নই।
শেখ মোহাম্মদের স্ত্রী যে একজন পুরুষ, এই বিষয়ে খোলাসাও হয় খুব খুব আশ্চর্যজনক ভাবে। শেখ মহম্মদের স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। এই সময় পুলিশ তাকে তল্লাশির জন্য স্পর্শ করলে জানা যায়, বাস্তবে সে মহিলা নয়, একজন পুরুষ। এই কথা প্রকাশ্যে আসার পরে শেখের স্ত্রী বলেন যে, তিনি তার কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করেছিলেন এবং মৌলভী শেখ মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার উদ্দেশ্য ছিল শেখ মোহাম্মদকে লুট করা। কিন্তু সুযোগ পাওয়ার আগেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পরে এ মামলায় শেখ মোহাম্মদের আত্মীয়কেও গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও তার দাবী এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না ।