হিংসা করা সর্বাবস্থায় খারাপ। তবে কাউকে কাউকে তাদের সৎকাজ করার তাওফিক বা উত্তম গুণের কারণে ঈর্ষা করা যায়। ঈর্ষা হলো কারো কোনো অর্জন, গুণ বা কাজ দেখে তার মতো হওয়ার আকাঙ্খা আর হিংসা হলো কারো কোনো অর্জন বা গুণ দেখে অসহ্যবোধ করা এবং তার ওই গুণ, অর্জন বা সাফল্যের ধ্বংস ও অনিষ্ট চাওয়া।
সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমে বর্ণিত একটি হাদিসে রাসুল সা. বলেছেন আল্লাহর দান করা নেয়ামত ও উত্তম গুণের কারণে দুজন ব্যক্তিকে ঈর্ষা করা যায়। রাসুল সা. বলেন,
لا حَسَدَ إِلاَّ في اثْنَتَيْنِ : رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ في الحَقّ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللهُ حِكْمَةً فَهُوَ يَقْضِي بِهَا ويُعَلِّمُهَا
শুধু দুটি বিষয়ে ঈর্ষা করা যায়; ওই ব্যক্তিকে ঈর্ষা করা যায় যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন এবং তা কল্যাণের পথে ব্যায় করার সুযোগও দিয়েছেন। ওই ব্যক্তিকেও ঈর্ষা করা যায় যাকে আল্লাহ হিকমত দান করেছেন, যা দিয়ে সে ফায়সালা করে ও শিক্ষা দেয়। (সহিহ বুখারি: ৭৩, সহিহ মুসলিম: ১৯৩০)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, উত্তম পথে ব্যায় করার সুযোগ পেলে দুনিয়ার সম্পদ লাভ বা ধনী হওয়াও উত্তম হতে পারে। যে ব্যক্তি দুনিয়ার সম্পদ লাভ করল এবং তা উত্তম পথে ব্যায়ও করতে পারল, সে ভাগ্যবান, এমন কি ঈর্ষার উপযুক্ত।
মানুষের ঈর্ষণীয় আরেকটি গুণ হলো মেধা, জ্ঞান ও বিচক্ষণতা; যদি মানুষ সেই গুণের মাধ্যমে শিক্ষাদান ও বিচারিক ফয়সালা ইত্যাদি কল্যাণকর কাজ করার সুযোগ পায়।
সুতরাং উত্তম কাজে ব্যায় করার নিয়তে বৈধ উপায়ে দুনিয়ার সম্পদ ও সামর্থ্য অর্জন করার চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর দান করা মেধা দিয়ে এমন জ্ঞান ও স্কিল অর্জন করার চেষ্টা করা উচিত যা কল্যাণকর কাজে লাগতে পারে।