তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে পর্যটন ট্রেনে ভয়াবহ আগুন লেগে ঝলসে ৯ জন রেলযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এতে আরও অনন্ত ৬০ জন আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই স্টেশনের কাছে। নিহতেরা সকলেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
রেল সূত্রের খবর, তিরুপতি-রামেশ্বমর থেকে কন্যাকুমারীর দিকে যাচ্ছিল লখনউ-রামেশ্বরম ভারত গৌরব ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেস। ভোর রাতে ট্রেনের একটি বগিতে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা ভয়াবহ আকার নেয়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের আরও কয়েকটি কামরায়।
ভোর রাতে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটায় মনে করা হচ্ছে, যাত্রীরা সকলে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থাতেই আটজনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। মাদুরাই স্টেশন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি মাদুরাই রেলস্টেশনের বাইরে বোড়ি লেনে দাঁড়িয়েছিল। আচমকাই দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ বাঁচাতে যাত্রীরা ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে পড়ে। ট্রেনে আটকে পড়ে বহু যাত্রী। উদ্ধার কার্যে হাত লাগায় এলাকার মানুষ। খবর পেয়ে রেলের আপৎকালীন দল সেখানে পৌঁছেছে। শুরু হয়েছে উদ্ধার কার্য। আহতদের উদ্ধার করে মাদুরাইয়ের রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছেন রেলের বিশেষজ্ঞ দল। রেলের একটি সূত্রের অনুমান, আইআরটিসির স্পেশ্যাল ট্রেনটির ইলেকট্রিক্যাল কোনও ত্রুটি থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। এবিষয়ে নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থল থেকে নমুণা সংগ্রহ করছেন রেলের বিশেষজ্ঞ দল। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক দলও।
যদিও রেলের আর একটি সূত্রের দাবি, যে কামরাটিতে আগুন লেগেছে, সেটি পর্যটকেরা ভাড়া নিয়েছিলেন। বেআইনি এলপিজি সিলিন্ডার নিয়ে সফর করছিলেন ওই পর্যটকেরা। সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়। সেক্ষেত্রের ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রেল কর্মীরা কেন সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
দুঘর্টনার পরই নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে যাত্রী সুরক্ষার প্রশ্নে রেলকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।