নারায়ণগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাতে সোনারগাঁ উপজেলার পাকুন্দা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন: মো. শামিম হোসেন, আরিফুল ইসলাম, নাহিদুল ইসলাম, মিলন, রায়হান সরকার মামুন ও নয়ন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতি শেষে একদল ডাকাত টয়োটা কোম্পানির একটি হায়েস গাড়ি নিয়ে পাকুন্দা সেতু এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করছিল। এসময় ডাকাতদের কাছে জিম্মি থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার দিলে বিষয়টি টহল পুলিশের নজরে আসে। তখন ডাকাত দল পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ হায়েস গাড়িটিসহ ডাকাত দলের ছয়জনকে আটক করে। পরে তাদের তল্লাশি করে জিম্মি করা ব্যক্তির কাছ থেকে ডাকাতি করা নগদ নব্বই হাজার টাকা, চারটি মোবাইল ফোন, একটি খেলনা পিস্তল, ডিবি ও ডিএমপি পুলিশের লোগো ছাপানো একটি কটি, এক সেট অকেজো ওয়ারলেস, এক জোড়া হাত কড়া, চাইনিজ কুড়াল, টর্চ লাইট ও লাঠিসোটাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।’
জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডাকাত দল সোনারগাঁ উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ে রোডের নয়াপুর কাঠালিয়াপাড়া এলাকায় কনফিডেন্স ব্যাটারি কারখানার সামনের রাস্তা থেকে মৃণাল কান্তি রায় নামের ওই ব্যক্তিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের ব্যবহৃত হায়েস গাড়িতে জোর করে তুলে নেয়। পরে ওই ব্যক্তিকে স্বর্ণ চোরাকারবারি আখ্যা দিয়ে তার হাত-পা ও চোখ বেঁধে সঙ্গে থাকা নব্বই হাজার টাকা লুটে নিয়ে তাকেসহ পালানোর সময় ডাকাতরা পুলিশের কাছে ধরা পড়ে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য এবং গাড়িতে থাকা ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে হাত পা বেঁধে গাড়িতে তুলে তার নব্বই হাজার টাকা ডাকাতি করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আটক ডাকাত দলের ছয়জনের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’