উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই। বরং ইউক্রেনের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে কব্জা করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হানা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
দশম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। এখনও পর্যন্ত উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই। বরং ইউক্রেনের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে কব্জা করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হানা চালিয়েই যাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক কেন্দ্র আক্রমণ করার পর পুতিন-সেনার লক্ষ্য এ বার তাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর মারিয়োপোল।
শনিবার মারিয়োপোলের মেয়র জানান, দিন কয়েক ধরে প্রবল আক্রমণ হচ্ছে বন্দরে। ইউক্রেন সেনাও প্রতিরোধ করছে। এর আগে ইউক্রেনের রাজধানী শহর কিভের একাংশ এবং খেরসনের কিছু জায়গায় নিজেদের ঘাঁটি গেড়ে ফেলেছে রাশিয়া। এখন তাদের পাখির চোখ ইউক্রেনের এই বিশেষ বন্দর।
প্রসঙ্গত, শনিবারই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি আমেরিকার সেনেটরদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করবেন বলে খবর। সেখানে ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি আমেরিকাকে জানাবেন।
অন্য দিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এক নয়া আইনে সই করে ফেলেছেন। যেখানে বলা হয়েছে, রুশ সৈন্যকে নিয়ে ভুয়ো খবর পরিবেশন বা প্রচার করলে সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ড। দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ বন্ধ করতে আগেই ফেসবুক, টুইটার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এনেছে রুশ সরকার। দেশবাসীর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও ভিন্ন মতের জায়গা নেই বলে বার্তা দিয়েছে রুশ সরকার।
রাজশাহীর সময় / জি আর