হার্টের অসুখ ঠেকাতে রুটিনে যোগ করুন এই অভ্যাস


ফারহানা জেরিন , আপডেট করা হয়েছে : 24-08-2023

হার্টের অসুখ ঠেকাতে রুটিনে যোগ করুন এই অভ্যাস

অনেকেই মনে করেন, হার্ট ভাল রাখতে গেলে সপ্তাহে পাঁচদিন কম করে ৩০ মিনিট বা সব মিলিয়ে ১৫০ মিনিট মাঝারি মাপের এমন ব্যায়াম করতে হয়, যাতে হার্টরেট বাড়ে। যেমন, জোর কদমে হাঁটা, জগিং, সাঁতার, সাইকেল চালানো ইত্যাদি। এবার হার্ট ভাল রাখতে আরও কিছু কৌশল ও উপায়ের কথা জানালেন গবেষকরা।

সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেল, এর পাশাপাশি দিনে মিনিট ২০ যোগা, প্রাণায়াম, ধ্যান করলে শুধু যে হার্ট ভাল থাকে তা নয়, যে যে কারণে ইসকিমিক হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে- যেমন, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল ইত্যাদিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিভিন্ন গবেষণাপত্রে এর স্বপক্ষে যুক্তিও পাওয়া গেছে।

ইউরোপিয়ান জার্নাল অব কার্ডিওভ্যাসকুলার নার্সিং পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে গবেষকরা জানিয়েছেন, অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের রোগীরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো সপ্তাহে মাত্র ৩০ মিনিট হালকা যোগা করলে ১২ সপ্তাহের মাথায় তার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ অনেক স্থিতিশীল হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। উন্নত হয় জীবনযাপনের মান।

ইসকিমিক হৃদরোগের এক বড় কারণ হল শুয়ে-বসে থাকা। গবেষকরা দেখেছেন, সপ্তাহে অন্তত দিন দুয়েক যোগা করলেও দশ সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ মানুষ আগের চেয়ে বেশি নিয়মনিষ্ঠ ও কর্মক্ষম হন। হৃদরোগের আশঙ্কা কমে। 'অল্টারনেটিভ থেরাপিস ইন হেলথ অ্যান্ড মেডিসিন' জার্নালে‌ প্রকাশিত হয়েছিল এই প্রবন্ধ।

এ ছাড়াও 'আমেরিকান জার্নাল অব হাইপারটেনশন'-এ প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন মোটামুটি ৮ সপ্তাহ যোগা ও প্রাণায়ামের করার পরই উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ কমতে শুরু করে। শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো ও মানসিক চাপ কমানোই এর অন্যতম কারণ। এই গবেষণার জন্য ৪০ জন হৃদরোগীকে যথাযথ চিকিত্‍সার পাশাপাশি ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে ১৬ বার যোগা করানো হয়। দেখা যায়, অন্যান্য উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি তাদের শ্বাসকষ্ট প্রায় ২২ শতাংশ কমে গেছে। 'মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্স ইন স্পোর্টস অ্যান্ড এক্সারসাইজ' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই প্রবন্ধ।

জার্নাল অফ অ্যামেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে যে এট্রিয়াল ফিব্রিলেশন নামে দ্রুত ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের যে মারাত্মক অসুখ আছে, যা থেকে যখন-তখন স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, তার প্রকোপও কম থাকে নিয়মিত যোগা করলে। যদিও এই তত্ত্বকে দৃঢ় ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে আরও গবেষণার দরকার, কিন্তু কিছুটা যে উন্নতি হয়, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে সন্দেহ নেই।

৪৯ জন এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনের রোগীকে যোগা করানোর পর দেখা যায় তাদের রক্তচাপ ও হার্টরেট খানিকটা কমেছে। ও বেশ কিছু দিন নিয়মিত করার পর বিপদের আশঙ্কা আগের তুলনায় প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে।

আসলে হৃদরোগ, মেদবাহুল্য, ডায়াবিটিস, মারাত্মক উচ্চ রক্তচাপ থাকলে যোগা শুরু করার আগে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ যোগা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অন্য ক্রনিক অসুখ থাকলেও একই কথা। ব্যথা-বেদনা থাকলে যথাযোগ্য সাবধানতা না গিয়ে যোগা করলে ব্যথা বেড়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়তে পারেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]