পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে জি-৭-এর বহুমুখী কৌশল


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 05-03-2022

পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে জি-৭-এর বহুমুখী কৌশল

জি-৭-এর তরফে শুক্রবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, সময়ের সঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রিুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণার পরেই মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো শুরু করে দিয়েছিল আমেরিকা ও তার বন্ধুরাষ্ট্রগুলি। সেই ধারা মেনেই এ বার বিশ্বের উন্নত সাতটি দেশের গোষ্ঠী জি-৭ একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

আমেরিকা, কানাডা, জাপান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি এবং ইটালিকে নিয়ে গঠিত জি-৭-এর তরফে শুক্রবার এই ঘোষণা করে জানানো হয়েছে, সময়ের সঙ্গে মস্কোর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধের পরিধি আরও বাড়ানো হতে পারে। গোষ্ঠীর তরফে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতির বদল না ঘটলে আমরা ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাব।’’

শুধু দেশ হিসেব রাশিয়া নয়, সে দেশের বৃহৎ উদ্যোগপতিদের জন্যও বাজার বন্ধ করার কথা জানিয়েছে জি-৭ দেশগুলি। তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার ব্যাঙ্কগুলির উপরও জারি হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। এমনকি, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াক্ষেত্র থেকে রাশিয়াকে নির্বাসনে পাঠানোর বন্দোবস্ত হয়েছে আমেরিকা এবং পশ্চিমী দুনিয়ার উদ্যোগে।

তবে রাশিয়ার উপর এক তরফা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপান হলেও‘‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ সেই তালিকায় আলাদা ভাবে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রের নাম নেই। গ্যাস ও জ্বালানি তেলের জন্য গোটা ইউরোপ নির্ভর করে পুতিনের দেশের উপর। ফলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জেরে চাপানো নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপে তেলের দাম আকাশ ছোওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে তেলের দামের মাত্রাছাড়া বৃদ্ধি হলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয় উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্ভবত সে কারণেই এই নীরবতা।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির অনুরোধ মেনে ইউক্রেনের আকাশপথকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন নেটোর অন্দরে মতবিরোধ রয়েছে এখনও। রাশিয়ার বিমান যাতে আকাশপথে হামলা না চালাতে পারে তার জন্য নেটোর কাছে ইউক্রেনের আকাশকে ‘নো-ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করার আবেদন করেছিলেন জেলেনস্কি। কিন্তু শুক্রবার ব্লিঙ্কেন জানান, ইউক্রেনে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলে ইউরোপে সরাসরি যুদ্ধ শুরু হতে পারে। এই কারণেই নেটো আপাতত কোনও ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যদিও আমেরিকার কংগ্রেসের বেশ কিছু সদস্য ইতিমধ্যেই জেলেনস্কির দাবি মেনে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার দাবি তুলেছেন। এমনকি, রিপাবলিকান সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের মতো কয়েক জন নেতা রাশিয়ার গণতন্ত্রপন্থী মানুষের কাছে পুতিনকে হত্যা করারও আহ্বান জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি, মস্কোর উপর কূটনৈতিক চাপের কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]