নবিজির (সা.) প্রথম সন্তানের নাম ছিল কাসেম। তার নামেই নবিজির কুনিয়ত হয় ‘আবুল কাসেম।’ কাসেম শিশু অবস্থায় মারা যান। অনেকের মতে মৃত্যুর আগে তিনি বাহনে চড়ার বয়সে পৌঁছেছিলেন।
এরপর নবিজি (সা.) ও খাদিজার (রা.) ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তার বড় মেয়ে জয়নব। অনেকে বলেছেন জয়নব কাসেমের চেয়ে বড় ছিলেন। এরপর একে একে নবিজির ঘরে জন্ম নেন তার আরও তিন মেয়ে রুকাইয়্যা, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা। তাদের মধ্যে কে বড় বা ছোট ছিলেন এ নিয়ে বিভিন্ন মত পাওয়া যায়।
ইবনে আব্বাস (রা.)-এর একটি বর্ণনা অনুযায়ী তিনজনের মধ্যে রুকাইয়্যা সাবার বড়, উম্মে কুলসুম সবার ছোট।
এরপর নবিজির ছেলে আব্দুল্লাহর জন্ম হয়। অনেকের মতে আব্দুল্লাহর জন্ম রাসুলের (সা.) নবুয়ত লাভের পরে, অনেকের মতে নবুয়ত লাভের আগেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার লকব বা উপাধি/ উপনাম ছিলো তাইয়িব ও তাহির।
অনেকে তাদেরকে রাসুলের (সা.) অন্য কোনো সন্তানও মনে করেন। তবে সঠিক মত অনুযায়ী আব্দুল্লাহই তাইয়িব ও তাহির। তিনিও শিশু অবস্থায় মক্কায় মৃত্যুবরণ করেন।
রাসুলের (সা.) এই ছয় সন্তান; চার মেয়ে ও দুই ছেলের সবাই হজরত খাদিজার (রা.) ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অন্যান্য স্ত্রীদের ঘরে তার কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি।
রাসুলের (সা.) তৃতীয় ছেলে ও সপ্তম সন্তান ইব্রাহিমের জন্ম হয় মদিনায় হিজরতের সাত বছর পর তার দাসী মারিয়া কিবতিয়্যার (রা.) ঘরে। তিনিও শিশু অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। (যাদুল মাআদ: ১/১০৩)
নবীজির তিন ছেলে কাসেম, আব্দুল্লাহ ও ইব্রাহিম সবাই শিশু অবস্থায় মারা যান। তার চার মেয়ে জয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম ও ফাতেমা; তাদের তিনজন জয়নব, রুকাইয়া ও উম্মে কুলসুম যুবতী বয়সে রাসুলের (সা.) জীবনকালেই মারা গিয়েছিলেন।
তার আরেকজন মেয়ে ফাতেমা (রা.) অত্যন্ত প্রসিদ্ধ, আলীর (রা.) স্ত্রী ও হাসান ও হোসাইনের (রা.) মা। রাসুল সা.-এর ওফাতের সময় একমাত্র তিনিই জীবিত ছিলেন। রাসুল সা.-এর ওফাতের ছয় মাস পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।