নবুয়তের সত্যতা প্রমাণে যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হন নবিজী (সা.)


ধর্ম ডেস্ক: , আপডেট করা হয়েছে : 05-03-2022

নবুয়তের সত্যতা প্রমাণে যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হন নবিজী (সা.)

ইসলাম সত্য ও সঠিক জীবন ব্যবস্থা। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য দ্বীন কোরআনসহ নবি ও রাসুল হিসেবে দুনিয়া আগমন করেছেন। তাঁর নবুয়তের সত্যতার ব্যাপারে অনেকেই সন্দেহ প্রবণ ছিলো। কিন্তু ইয়াহুদিদের ৩টি প্রশ্নের যথাযথ জবাবে প্রমাণিত হয়েছিল যে হজরত মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সত্য নবি এবং রাসুল। কী সেই তিন প্রশ্ন?

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, তাওরাত ও ইনজিলের পণ্ডিতরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়ত সম্পর্কে কী বলে তা জানার জন্য মক্কার লোকেরা দুই জন লোককে মদিনার ইয়াহুদিদের কাছে পাঠান। ইয়াহুদি পণ্ডিতরা বলল, আপনারা আপনাদের নবিকে তিনটি প্রশ্ন করবেন। যদি এই প্রশ্নের উত্তর তিনি দিতে পারেন তাহলে তিনি সত্য নবি; আর উত্তর দিতে না পারলে তার নবুওয়ত সঠিক নয়।

প্রশ্ন তিনটি হলো-

১. এক যুগে কিছু যুবক শিরক থেকে মুক্তিলাভের জন্য জন্মভূমি ত্যাগ করে একটি পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে ছিল, তাদের ঘটনা বলুন।

২. ওই ব্যক্তির কথা বলুন যিনি পূর্ব ও পশ্চিম পৃথিবী ভ্রমণ করেছিলেন।

৩. রুহের স্বরূপ কী?

প্রশ্ন তিনটির মধ্যে ইয়াহুদিদের প্রথম দুটি প্রশ্নের উত্তরে আল্লাহ তাআলা সুরা কাহাফ নাজিল করেন। উত্তরগুলো হলো-

১. ওই সব যুবকের ঘটনা, যারা ঈমান আকিদা রক্ষা করার জন্য নিজেদের ওপর কোরবানি করে নিজেদের বাড়ি-ঘর ও অঞ্চল ছেড়ে কোনো এক পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং সেখানে ৩০৯ বছর ঘুমিয়ে কাটানোর পর আল্লাহ তাআলা তাদের আবার জাগ্রত করেন।

২. বাদশাহ জুলকারনাইনের ঘটনা; যিনি সারা বিশ্বের বাদশাহ ছিলেন এবং সারা পৃথিবী ভ্রমণ করেন।

৩. হজরত মূসা ও খিজির আলাইহিস সালামের মাঝে সংঘটিত ঘটনা। যা সুরা বনি ইসরাইলের ৮৫ নম্বর আয়াতে আলোচিত হয়েছে।

এ ঘটনাগুলোর জন্য উক্ত সুরাটি যেমন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তেমনি অনেক ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে এসেছে-

১. হজরত আবু দারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, যে সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত পড়ে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। তাঁর থেকে আরেকটি রেওয়ায়েতে শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারে উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে। (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ)

সুতরাং প্রথম বা শেষ ১০ আয়াত অথবা উভয় দিক দিয়ে মোট ২০ আয়াত যে পড়বে সেও উল্লিখিত ফজিলতের অন্তর্ভুক্ত হবে।

২. হজরত সাহাল ইবনে মুয়াজ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায়। আর যে পূর্ণ সুরা তেলাওয়াত করে তার জন্য জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ)

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ তিন প্রশ্নের উত্তরে প্রমাণিত হয়েছিল যে, তিনি সত্য দ্বীন কোরআনসহ দুনিয়া আগমন করেছেন। তিনি সত্য নবি এবং রাসুল।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]