বলা হয় যে বাদুড়ের কারণে করোনা মহামারীর আবির্ভাব হয়েছিল। এই কারণে, বিজ্ঞানীরা বাদুড় নিয়ে কিছু গবেষণা করেছেন, যাতে দেখা গেছে যে ভবিষ্যতে মহামারী ছড়িয়ে পড়লেও এর পেছনে কারণ হবে বাদুড়।
এই গবেষণার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা মানুষকে বাদুড় থেকে দূরত্ব বজায় রাখার আবেদন করছেন। কারণ ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমে কোনো বিপজ্জনক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা সমগ্র মানব সভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
কয়েকদিন আগে ল্যানসেট জার্নালে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে একটি বিষয় লেখা হয়েছিল যে বিশ্ব যদি ভবিষ্যতে করোনার মতো মহামারী এড়াতে চায় তবে বাদুড় থেকে দূরে থাকতে হবে। এই গবেষণায় এমনও বলা হয়েছিল যে, সারা বিশ্বের দেশগুলিকে তাদের নিজ নিজ জায়গায় একটি আইন প্রণয়ন করা উচিত্ যাতে কেউ কোনওভাবে বাদুড় শিকার করতে না পারে। বিশেষ করে তিনি যে জায়গায় থাকেন, সেখানে অনুমতি ছাড়া কেউ যেতে পারবে না।
এই বাদুড় প্রথম থেকেই কুখ্যাত ছিল কারণ তারা মানুষের মধ্যে বিপজ্জনক রোগ নিয়ে আসে। বিশেষ করে বিপজ্জনক ভাইরাস যেমন রেবিস, মারবার্গ ফিলোভাইরাস, হেন্দ্রা, নিপাহ প্যারামিক্সোভাইরাস, মার্স, করোনা ভাইরাস এবং ইবোলা শুধুমাত্র বাদুড় থেকে এসেছে। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা আতঙ্কিত এবং বিশ্বের কাছে আবেদন জানান যে মানুষ বাদুড় থেকে যত বেশি দূরত্ব বজায় রাখবে, ততই তাদের জন্য মঙ্গল।
এই গবেষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক চলছে যে, তা হলে মানবতা বাঁচাতে বাদুড় মারা হল না কেন? কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এর সঙ্গে একমত নন। কারণ বাদুড় আমাদের পৃথিবীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে, বাদুড়রাই মশা মাছি খায় যা রাতে মানুষকে বিরক্ত করে। এমতাবস্থায় তাদের হত্যা করা হলে পৃথিবীর ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে, যা সঠিক হবে না।