বিয়ের পর প্রত্যেক পুরুষই তার দাম্পত্য জীবন সুখের হোক চায়, তবে এর জন্য প্রয়োজন তার শরীরে যেন কোনো দুর্বলতা না থাকে। পুরুষ যদি বাবা হতে চায়, তাহলে শুক্রাণুর সঠিক সংখ্যা থাকা জরুরি, অন্যথায় বিবাহিত জীবনে তিক্ততা অনিবার্য।
আর তাই এই একটি বিশেষ ফলের বীজের সাহায্যে শুক্রাণুর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব। কী সেই ফল চলুন জেনে নেই-
বিবাহিত পুরুষদের তরমুজের বীজ খেতে হবে: তরমুজ যা প্রায়শই গ্রীষ্মের মৌসুমে খাওয়া হয়, যার কারণে শরীরে জলের অভাব হয় না। এই রসালো ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানি। তবে এর মধ্যে পাওয়া কালো বীজের উপকারিতা বিখ্যাত পুষ্টি বিশেষজ্ঞ 'নিখিল ভাতস' জানিয়েছেন।
তরমুজ এবং তরমুজের বীজ, দুটোই পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয় কারণ এটি শুক্রাণুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে উন্নত করে এবং শুক্রাণুর গুণমানও উন্নত করে। তাই যদি কোন পুরুষ নিঃসন্তান হয় তবে তাকে অবশ্যই এই ফলের বীজ খাওয়া উচিত্।
তরমুজের বীজে পুষ্টিগুণ: প্রোটিন সেলেনিয়াম, জিঙ্ক পটাসিয়াম এবং কপারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি তরমুজের বীজে পাওয়া যায়, এটি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি শরীরে ভিটামিন, খনিজ, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে।
পুরুষদের জন্য তরমুজের বীজের উপকারিতা:
তরমুজের বীজ খেলে স্পার্ম কাউন্ট ভালো থাকে, এতে সিট্রুলাইন পাওয়া যায় যা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।
তরমুজের বীজে গ্লুটামিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, লাইকোপিন, লাইসিন এবং আরজিনিন পাওয়া যায়, যা পুরুষদের যৌন ক্ষমতাকে উন্নত করে।
তরমুজের বীজে জিঙ্ক পাওয়া যায় যা পুরুষদের প্রজনন ব্যবস্থার জন্য অপরিহার্য। এর শুক্রাণুর মান উন্নত হয় এবং বাবা হতে কোন সমস্যা হয় না।
তরমুজের বীজ হজমশক্তি ও হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যও উন্নত করে।
তরমুজ বীজ খাওয়ার নিয়ম: সরাসরি তরমুজের বীজও খেতে পারেন, এ ছাড়া অন্য উপায় হল এই বীজগুলিকে রাতারাতি অঙ্কুরিত হওয়ার জন্য ছেড়ে দেওয়া এবং তারপরে রোদে শুকনোর পরে সেগুলি খাওয়া। বা ভাজা করেও খেতে পারেন।