পে পেরিয়েছে তাঁর। বয়স লুকিয়ে রাখেননি। ৪০ পার হতেই সবার সামনে জোর গলায় জানিয়েছেন। বিনা মেকআপে ছবি দিয়েছেন। শুধু কি তাই? বলিরেখা থেকে চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল- ঢেকে রাখা নয়, বরং নিজেকে মেলে ধরেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সম্প্রতি শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে বেশ কয়েকটি 'মিরর সেলফি' পোস্ট করেছেন তিনি।
মিরর সেলফি নতুন কিছু নয়, গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে ছবি পোস্টও প্রথম নয়, তবে নতুন কী? স্বস্তিকার ক্যাপশনটি। ইদানিং তাঁর শরীরের নানা অঙ্গ নিয়ে কদর্য আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। তাঁর স্তনের আকার থেকে শুরু করে গায়ের চামড়া— স্ক্রুটিনি থেকে ছাড় পায়নি কিছুই।
এবার তা নিয়েই স্বস্তিকা লিখলেন, “মিরর সেলফি তুললাম। ৪০ বছর বয়সে আমার স্তন যেমন হওয়া উচিত্ সে ভাবেই তাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছি। ক্যামেরন ডিয়াজের মতো তারা নয়। ব্রা স্ট্র্যাপের দাগেও নিজেকে ঠিকই লাগছে। যে সব মহিলা ১২ ঘণ্টার বেশি ব্রা পরে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই দাগ হার্টব্রেকের থেকেও বেশি সময় শরীরে থেকে যায়। আমার ‘ফ্রিকল’ নিয়েও আমি খুশি, বলতে পারেন ওদের আমি ভালবাসি। না ওগুলো কোনও চর্মরোগ নয়। এর জন্য কোনও চিকিত্সারও প্রয়োজন হয় না। আর ওই যে আমার ‘ছোট ঝুঁটি’। ১৫ বছর পর চুল বড় করেছি। ভীষণ ভাল অনুভূতি।”
অমসৃণ চামড়া, স্তনের ‘নট সো পারফেক্ট’ আকার নিয়ে কোনও লুকোছাপা নেই তাঁর। প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে এভাবে তুলে ধরায় স্বস্তিকা যে মুহূর্তে নেটিজেনদের কাছে বাহবা পাচ্ছিলেন ঠিক সেই মুহূর্তে তাঁকে কটাক্ষেরও সম্মুখীন হতে হল। এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখলেন, “তোয়ালে পরে বাথরুমে। তুমি কী দেখাতে চাইছ? আমার মনে হয় না এটি খুব একটা স্বস্তিকাসুলভ।” স্বস্তিকাও জবাব দিয়েছেন, লিখেছেন, “বইয়ে লেখা আছে একজন নারী বাথরুমে তোয়ালে পরে ছবি দিতে পারবেন না, যদিও তিনি ওই তোয়ালে, ওই ঘর ও ওই ফোনের পয়সা নিজেই দিয়েছেন। শুধু কি তাই, নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলেও নিজের ছবি পোস্ট করেছেন। তাও তিনি পোস্ট করতে পারবেন না।” তবে এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে, স্বস্তিকা প্রশংসিতই হয়েছেন, ছবিগুলির জন্য। নায়িকাদেরও বয়স হয়, হয় বলিরেখা, হয় ফ্রিকল— চাক্ষুষ করে খুশিই তাঁর অনুরাগীরা।