এবার পুলিশের ব্যারাক থেকে ছাগল চুরি’র অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর চাপে পড়েছে জেলা পুলিশ। কারণ ছাগলটি বিশেষ কর্তার। তাই কোনও অজুহাত চলবে না। মানুষের ছাগল চুরি বা হারিয়ে গেলে দায়সারা তদন্ত করা যায়। কিন্তু সেই ছাগল যদি পুলিশ কর্তার হয় তাহলে তো রেহাই নেই। এমন ঘটনা ঘটার পর এখন তোলপাড় শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ।
তমলুক থানায় ছাগল চুরি নিয়ে এফআইআর হয়েছে। আর তারপরই তৎপরতা চরমে উঠেছে। আসলে চুরি গিয়েছে খোদ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (হেডকোয়ার্টার) ছাগল। এনভিএফ কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। গত ১৪ অগস্ট এই ছাগল চুরি নিয়ে তমলুক থানায় এফআইআর করেছেন ব্যারাকে ডিউটিরত এনভিএফ কর্মী মেঘনাদ জানা। তমলুক থানা ছাগল চুরির ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছেন। কিন্তু এখনও খোঁজ নেই ছাগলের।
তমলুক শহরের ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এনভিএফ ব্যারাক। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) সৈয়দ এমএম হাসানের একটি ছাগল ছিল। এনভিএফ কর্মীরা কাজের ফাঁকে দেখভাল করতেন। গত ৩০ জুলাই এনভিএফ কর্মী মেঘনাদ জানা নিমতৌড়ির পুলিশ লাইনে যান। সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন থেকে ফিরে তাঁর চোখে পড়ে পুলিশ কর্তার ছাগল নিখোঁজ। সহকর্মীদের জিজ্ঞাসা করলে সদুত্তর মেলেনি। তবে সবাই তৎক্ষণাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন খুঁজতে। কিন্তু কোথাও হদিশ না পেয়ে কাছের গ্রামে তল্লাশি করা হয়। কিন্তু ছাগল মেলেনি। তখন চিন্তার পাশাপাশি চাপ বাড়ে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিষয়টি ছাগল হারায়নি। সেটা চুরি গিয়েছে। তাই চোর ধরতে শোর শুরু করেছে পুলিশ। তোলপাড় করে সর্বত্র তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সোর্স কাজে লাগানো হচ্ছে যাতে ওই ছাগল খুঁজে পাওয়া যায়। এবার সন্দেহ হচ্ছে পুলিশ কর্তার সেই ছাগল রান্না করে চোরেরা হজম করে দেয়নি তো! সবদিকে খোঁজখবর চালানো হচ্ছে। তমলুক থানার পুলিশকে অভিযোগকারী এনভিএফ কর্মী মেঘনাদ জানা বলেন, ‘কর্তার ছাগলটি প্রায় আড়াই বছর এখানে ছিল। সকালে ঘুরে বেড়াত। আর সন্ধ্যায় ফিরে আসত ব্যারাকে। ওই দিন ঝড়বৃষ্টি হওয়ায় বিদ্যুৎ ছিল না। ছাগলটি তাই রাস্তা হারিয়ে ফিরে আসেনি মনে করেছিলাম। আমরা তন্নতন্ন করে খুঁজেও না পেয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’