বাঁশবাগানে ঢুকে বাঁশের কঞ্চি কাটছিলেন শিধুবালা দাস (৮২) নামের এক বৃদ্ধা। সেখানেই চাক বেঁধেছিল ভিমরুল। সেই ভিমরুলের বিষাক্ত কামড়েই মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। হুগলির জিরাট উত্তর গোপালপুর এলাকায় ঘটনা ঘটে। যদিও তাঁর মৃত্যু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার হাসপাতালে। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রান্নার জন্য বাড়ির পাশেই একটি বাঁশবাগানে বাঁশের কঞ্চি আনতে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেখানেই যে ভিমরুল চাক বেঁধেছে, তা জানতেনও না। কঞ্চি কাটার সময় চাকে আঘাত লাগে। এরপরই ঝাঁকে-ঝাঁকে ভিমরুল এসে ছেঁকে ধরে ওই বৃদ্ধাকে। ভিমরুলের বিষাক্ত হুলের আক্রমণ থেকে বাঁচতে ওখানেই মাটিতে পড়ে যান শিধুবালাদেবী।
কিন্তু ভিমরুল তাঁকে হুল ফুটিয়ে গোটা শরীর ফুলিয়ে দেয়। সেখান থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে জিরাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কালনা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। শনিবার সকালে কালনা হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। সেখান থেকে বিকেলের দিকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় বৃদ্ধার দেহ।
মৃতার ছোট ছেলে ক্ষুদিরাম দাস এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আমার মা’কে বুধবার ভিমরুলে কামড়ে দিয়েছিল। আমি বারবার বাগানে যেতে বারণ করেছিলাম। কিন্তু শুনল না। সেই বাঁশ বাগানে গেল আর ভিমরুল মা’কে কামড় দিল। আমি খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে দেখলাম, মায়ের গোটা শরীর চাকচাক হয়ে ফুলে গিয়েছে।”