যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি! তারমধ্যেই ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে বাংলার দুই পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। শুক্রবারই অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে বাংলার ছাত্র সৌরদীপ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর মিলেছিল। সেই অন্ধ্রপ্রদেশেই টালিগঞ্জের এক মেয়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনা সামনে এল। পরিবার খুনের অভিযোগ তুলেছে। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রীতি সাহার পরিবার।
পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভাল ছিলেন টালিগঞ্জের রীতি। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তাই নিটের প্রস্তুতি নিতে পাড়ি দিয়েছিলেন অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনমে। সেখানেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার পাশপাশি চলছিল নিটে বসার প্রশিক্ষণ। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার আগেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় তাঁর।
পরিবারের কথায়, ১৪ জুলাই রাতে হস্টেলের সুপার ফোন করে জানান, ৪ তলার ছাদ থেকে পড়ে গেছে রীতি। খবর পেয়ে ১৫ তারিখই বিশাখাপত্তনমে পৌঁছন তারা। গিয়ে দেখে, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে তাদের মেয়ে। ১৬ জুলাই লড়াই থেমে যায়, হাসপাতালে মৃত্যু হয় রীতির।
হস্টেল কর্তৃপক্ষের আত্মহত্যার দাবি মানতে নারাজ রীতির বাবা-মা। তাঁদের দাবি, হস্টেল থেকে ৮ ফুট দূরে রীতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে আত্মহত্যা হতে পারে? মৃতার বাবা জানান, ‘আমার মেয়ে কেন আত্মহত্যা করবে। চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে আমার মেয়েকে। হস্টেলের ঘরে মদের বোতল পাওয়া গিয়েছিল, সেই অভিযোগ জানিয়েছিল আমার মেয়ে। আক্রোশ থেকেই খুন করা হয়েছে।’ র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন রীতির বাবা-মা।
শুক্রবার মেদিনীপুরের সৌরদীপ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর সামনে আসে। পরিবারের অভিযোগ, ব়্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের। অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকে মেলেনি কোনও সাহায্য। এমনকী অন্ধ্রপ্রদেশের থানায় যেতে চাইলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে পারেন সৌরদীপের পরিবার।