ভারতের বিহারের আরারিয়া জেলায় এক স্থানীয় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে জেলার রানিগঞ্জ বাজার এলাকায় ওই সাংবাদিককে হত্যা করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। বিহার পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদন মতে, এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ আখ্যা দিয়ে ঘটনাটি তদন্তে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার। পাটনায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এমন করে একজন সাংবাদিককে কিভাবে হত্যা করা যায়।’
নিহত সাংবাদিকের নাম বিমল কুমার যাদব। ৩৫ বছর বয়সী বিমল দৈনিক জাগরণ পত্রিকার স্থানীয় সাংবাদিক। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে যাদবের বাড়িতে এসে তাকে ডাকাডাকি করে বন্দুকধারীরা। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা তার বুকে গুলি করে।
পাঁচ মিনিট পরই ৫টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান স্থানীয় থানার পুলিশ প্রধান। তিনি ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত করেন এবং মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। পুলিশ আরও জানায়, একটি ফরেনসিক টিম ও একদল প্রশিক্ষিত কুকুরই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।
পুলিশ বলেছে, প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা থেকে এমন ভয়ানক ও মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দুই বছর আগেই বিমলের ছোট ভাই শশীভূষণ যাদবকেও ঠিক একইভাবে খুন করেছিল দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার মূল প্রত্যক্ষদর্শী ও সাক্ষী ছিলেন বিমল। তবে ভাইয়ের হত্যার ঘটনায় সাক্ষ্য না দিতে প্রায়ই হুমকি পেতেন তিনি।
রাজ্য পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জিতেন্দ্র সিং গ্যাঙ্গোয়ার বলেন, হতে পারে মামলার চার্জশিট পড়ার পর ঘাতকের মনে হয়েছিল, বিমলের সাক্ষ্য মামলায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ এই বিষয়টার ওপর নজর রেখেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে। বিমলের পরিবারও দুই হত্যার মধ্যে যোগসূত্র আছে বলে মন্তব্য করেছে।
সাংবাদিক বিমল কুমার যাবদের ১৫টি বছর বয়সী একটি ছেলে ও ১৩ বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আরারিয়া ডিস্ট্রিক্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অমরেন্দ্র সিং বলেন, ‘মনে করা হচ্ছে এলাকার কোনো খবরকে কেন্দ্র করে কোনো মহলের স্বার্থে ঘা লাগার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড।’