চর্মরোগ এক ধরনের মারাত্মক রোগ। বলা হয়ে থাকে যে, বর্ষায় চর্মরোগ খুব হয়। বর্ষায় আর্দ্রতার কারণে চর্মরোগ সহজেই ছড়ায় বা হতে পারে। এ ধরনের ত্বকে নিম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের সংক্রমণের সর্বোত্তম চিকিত্সা হল নিমের পেস্ট প্রয়োগ করা।
তাই বর্ষায় চর্মরোগ এড়াতে চাইলে পরিষ্কার শুকনো জামাকাপড় পরুন এবং হাত-পা বারবারlll ভিজতে দেবেন না। কারণ বেশি জলে সংস্পর্শে থাকলে দাদ ও চুলকানির সমস্যা আরও বাড়বে। চর্মরোগ বা চর্মরোগে নিম পাতা খুবই উপকারী। চলুন তাহলে জেনে নেই চর্মরোগে নিম ব্যবহার কীভাবে করতে হয়-
নিমের রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। এই গাছের শিকড় থেকে শুরু করে পাতা, ফুল, বীজ, বাকল, কাঠ, এমন সব গুণ রয়েছে যা ব্যবহার করে রোগ এড়ানো যায়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যযুক্ত নিম সবসময় ত্বকের রোগে ব্যবহৃত হয়।
০-১০ গ্রাম নিমের ছাল এবং নিমের বীজ নিম পাতার সঙ্গে পিষে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। যেখানে ত্বক সংক্রান্ত রোগ বা চুলকানি বা দাদ আছে সেখানে ভালো করে লাগান। এটি তাত্ক্ষণিক স্বস্তি দেবে। ব্রণের উপরও এই পেস্ট লাগাতে পারেন। দাদ, চুলকানি ও একজিমা ও ফোড়ার উপর নিম ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
এর জন্য পুরনো নিম গাছের শুকনো ছাল তুলে মিহি গুঁড়ো তৈরি করতে হবে এবং তারপর ৩ গ্রাম পাউডার এক গ্লাস জলে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং তারপর সকালে এর মধ্যে মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এই জল ব্যবহার করলে চর্মরোগে উপশম পাওয়া যায়।
এমনকি একজিমার সমস্যায়ও নিম পাতার রসে ভিজিয়ে ব্যান্ডেজ লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়। দাদ এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য, নিমের ১০-১৪ টি পাতা নিন এবং তারপর এটি একটি পেস্ট তৈরি করতে ভালভাবে পিষে নিন, তারপর এটি ভালভাবে লাগান। ২-৩ বারে আরাম পাবেন।